আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী বছর (২০২০ সাল) বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
ইতিমধ্যে এই বছরকে ’মুজিব বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে বছরব্যাপী কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
তাই যথাসময়ে সম্মেলন করতে হলে চলতি বছরের মধ্যেই করতে হবে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই অক্টোবরে জাতীয় সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছে। যদিও সম্মেলনের তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। আগামী অক্টোবরের শেষ দিকে বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। সে ক্ষেত্রে প্রস্তুতির কারণে কিছু দিন পিছিয়ে নভেম্বরেও হতে পারে।
গত ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সে অনুযায়ী চলতি বছর ২৩ অক্টোবর বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। গত ৫ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় নির্ধারিত সময়ে দলের জাতীয় সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হয়। তৃণমুল পর্যায় থেকে এই সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের আটটি সাংগঠনিক টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এই টিমগুলোকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলনসহ সাংগঠনিকভাবে তৃণমুলকে প্রস্তুত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সে অনুযায়ী এই টিমগুলো জেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক সফর করে। তবে জুলাইয়ে অনেক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে এই টিমগুলোর কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। যে সব জেলায় বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে সে সব জেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়নি। এই সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বন্যাদূর্গতদের সহযোগিতা ও ত্রাণ কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং কেন্দ্রীয় নেতারাও ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নেন। এর পর শোকের মাস আগস্ট শুরু হয়। শোকের মাস শেষ হলে সেপ্টম্বর থেকে আবার ওই টিমগুলো সম্মেলনের প্রস্তুতির কাজ শুরু করবে বলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান।
ওই নেতারা আরও জানান, বর্তমানে দলের সাংগঠনিক অবস্থা যে পর্যায়ে আছে সেটা সম্মেলনের জন্য যথেষ্ঠ। জাতীয় সম্মেলনের যে প্রস্তুতি দরকার সেটা এক মাসের মধ্যে আওয়ামী লীগ নিতে পারবে। জাতীয় সম্মেলনের মুল কাজ হচ্ছে কাউন্সিলর নির্বাচন করা। সেপ্টেম্বর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু করলে এটা সম্পন্ন করতে সম্মেলনের আগ পর্যন্ত যথেষ্ঠ সময় হাতে আছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, যথাসময়ই সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সম্মেলন পেছানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা এই মুহুর্তে আছে বলে মনে করি না। বর্তমানে দলের সাংগঠনিক অবস্থা ভালো, সংগঠিত আছে। এই অবস্থায় এক মাসের প্রস্তুতি নিয়েই সম্মেলন করা সম্ভব। মুল কাজ কাউন্সিলর নির্বাচন করা। কাউন্সিলর ঠিক করাই আছে। মাত্র তিন বছর আগে দলের সম্মেলন হয়েছে। এখন এই কাউন্সিলর তালিকা আপডেট করা।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সম্মেলন পেছানোর সম্ভাবনা দেখছি না। এখনও যে সময় আছে সেই সময়ের মধ্যেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সম্ভব। প্রস্তুতির কাজ থেমে নেই। সম্মেলনের জন্য যে সাংগঠনিক প্রস্তুতি দরকার সেটা আওয়ামী লীগের আছে। এখন মুল কাজ কাউন্সিলর তালিকা করা। এটা করতে বেশী সময় প্রয়োজন হবে না। দ্রুতই এই প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এসকে/এমএইচএম