মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
গোলাম মোস্তফা বলেন, কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির সাংবিধানিক স্বীকৃতি না দিয়ে বাংলাদেশের প্রায় সব শাসকগোষ্ঠী জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ চেষ্টায় এবং বাংলাদেশের আগ্রহে ১৯৭২ সালের ২৪ মে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে নজরুল ইসলামের জন্মদিনকে সামনে রেখে স-পরিবারে তাকে ‘রাষ্ট্রীয় অতিথি’র মর্যাদায় স্থায়ীভাবে ও ‘জাতীয় কবি’র অভিধা দিয়ে ঢাকায় আনা হয়। তেজগাঁও বিমানবন্দরে সেদিন বিপুল সংবর্ধনায় কবিকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং শেখ মুজিবুর রহমান।
ন্যাপ মহাসচিব আরও বলেন, মানুষের মুক্তির কথা বলতে গিয়ে যে মানুষটি শাসন-শোষন ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে অকপট ও সোচ্চার থেকে অবিচলভাবে বলে গেছেন, মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান’-সে মহান ব্যক্তিকে আমরা আমাদের স্বাধীনতার প্রায় অর্ধশত বছর পরও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে না পারায় আমাদের মানসিকতা ও রাষ্ট্রের দৈন্যভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছি। কোনো অজ্ঞাত কারণে গণমানুষের কবি নজরুলকে বাংলাদেশের জাতীয় কবির সাংবিধানিক স্বীকৃতি আজও দেওয়া হয়নি তা সত্যিকারেই স্পষ্ট হওয়া দরকার।
বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী, মো. আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, ঢাকা মহানগর যুগ্ম সম্পাদক মো. শামিম ভুইয়া, শ্রম সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মাজারে বাংলাদেশ ন্যাপের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এমএইচ/এএটি