বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে নগরের নজরুল অডিটরিয়ামে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিকে শামীমের মতো লোকেরা দলে অনুপ্রবেশকারী।
‘প্রায় ১১ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। তাই অনেকে অনুপ্রবেশ করছে, করতেও চায়। যেমন জোয়ারের পানি যখন ঢোকে, তখন সাপও ঢোকে, ব্যাঙও ঢোকে। আমাদের অবস্থাও তাই। ’
সিলেটে আওয়ামী লীগের কোন্দল নিয়ে তিনি বলেন, এখানে সাংগঠনিক বিষয়ে অনেক কথা এসেছে। নির্বাচন আসতেই দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দল মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যান। তারা আওয়ামী লীগের হতে পারে না। শৃঙ্খলা ভঙ্গে যারা অভিযুক্ত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জাতীয় সম্মেলন নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সম্মেলনের আগেই জেলা থেকে ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের কাউন্সিল সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নভেম্বরে শেষ দিকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করা হবে। এর আগেই আমাদের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলার কাউন্সিলর সম্পন্ন করতে হবে। তাহলেই আমরা ডিসেম্বরে জাতীয় সম্মেলন করতে পারবো।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
সভায় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, কেন্দ্রীয় সদস্য রফিকুর রহমান, সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ও সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এনইউ/এইচএডি