বুধবার (০৬ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল করিম এ আদেশ দেন।
আব্দুল করিম বলেন, হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের রুহিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে ঘিরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষের আশঙ্কায় সভা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে এ আদেশ জারি করা হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) রাতে রুহিয়া গ্রাম থেকে নুরুল হুদার বাড়ি থেকে লাঠিসোটা উদ্ধারসহ তাকে গ্রেফতার করে হরিপুর থানা পুলিশ।
জানা যায়, চলমান আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের জন্য হরিপুর উপজেলার রুহিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বুধবার সকাল ১১টায় বকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার দিন ও তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে দলটির একাধিক নেতাকর্মীকে বর্ধিত সভায় আমন্ত্রণ না করায় এবং বর্ধিত সভার স্থান ইউনিয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে না করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে আয়োজন করায় দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার অভিযোগ, কমিটির অনুমোদন ছাড়াই নতুন করে সদস্য অর্ন্তভুক্ত করায় এ ধরনের দ্বন্দ্ব লেগেই আছে। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের চিত্র একই রকম। আর এ দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগের কিছু সুবিধাবাদি নেতা। এজন্যই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
বকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার ও বহরমপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, বর্ধিত সভা হবে কাদের নিয়ে। যদি ত্যাগী নেতারা বাদ পড়ে তাহলে কোনোভাবেই বর্ধিত সভা হতে দেওয়া হবে না। দীর্ঘদিন ধরে যারা আওয়ামী লীগের হাল ধরে আছে তাদের বাদ দিয়ে বর্ধিত সভার আয়োজন করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাই সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্য দিয়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হোক। তা না হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিটি সভায় এ ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাছাড়া মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলের পাশের একটি বাড়ি থেকে লাঠিসোটাসহ একজনকে আটক করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এনটি