মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর কালকে বলেছেন ‘বিএনপি হচ্ছে একটি বটগাছ।
‘তাদের দল থেকে যে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা দল ত্যাগ করে চলে গেছেন সেই প্রসঙ্গেই তিনি একথা বলেছেন। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে তিনি বিএনপির বটগাছ থেকে চলে যাবেন, সেই প্রশ্ন অনেকেই করেছে। ’
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি থেকে যেভাবে তাদের সিনিয়র নেতারা দলত্যাগ করে চলে যাচ্ছেন, এই তালিকায় আরো বহুজন আছেন। সেগুলো ভবিষ্যতে বিএনপি দেখতে পাবে। এই পরিস্থিতিতে গয়েশ্বর নিজের হতাশা কাটানোর জন্য, আত্মতুষ্টির জন্য এই কথা বললেও তাদেরকে আর তারা ঠেকাতে পারবে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি হচ্ছে মানুষের জন্য, জনগণের কল্যাণের জন্য। কিন্তু তাদের রাজনীতি গত ১১ বছরে মানুষের কল্যাণে আবর্তিত হয়নি। তাদের রাজনীতি সবসময় আবর্তিত হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং খালেদা জিয়া, তারেক জিয়ার মামলা এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে। তারা এই বিষয়গুলোকে ফুটিয়ে তোলার জন্য যে জঘন্য পথ অবলম্বন করেছে, জনগণের উপর আক্রমণ করা, পেট্রোল বোমা হামলা চালানো, সে কারণে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ কারণে তাদের নেতারা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
‘বিদেশ থেকে যেভাবে দলকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তাদের দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র বলতে কোনো কিছু নেই, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন না। সিদ্ধান্ত আসে তাদের দ্বণ্ডপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছ থেকে এবং সেগুলো অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্ত। ’
বিএনপির কেউ আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে কিনা- প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির অনেক নেতাই দল ছেড়ে যাওয়ার জন্য বহুদিন ধরেই চিন্তা ভাবনা করছেন এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে যে যোগাযোগ করছেন না তা নয়। আওয়ামী লীগ কিন্তু যাকে তাকে দলে নেওয়ার জন্য বসে রয়নি। আওয়ামী লীগ একটি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের মধ্য থেকে উঠে আসা দল। আওয়ামী লীগে যোগদান করতে চাইলেই সবাইকে নেওয়া সম্ভবপর নয়।
‘তাদের দল থেকেই অনেকেই দল ত্যাগ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন, মাত্র শুরু হলো ভবিষ্যতে বিএনপি আরো দেখতে পাবে। ’
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে মামলা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গাম্বিয়া যে মামলাটি করেছে সেটি ওআইসির সিদ্ধান্তে করেছে। এই মামলার বিষয়টি ওআইসিভুক্ত ৫৬টি দেশের রেজুলেশনে সংযুক্ত রয়েছে।
‘যখন মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন করা হচ্ছিলো, তাদের উপর নির্যাতন চালানো শুরু হয়েছিল, মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘটিত হওয়া শুরু হয়েছিল তখন ওআইসি মিটিং ডাকেনি। এরপরে বাংলাদেশের উদ্যোগের পর মিটিং ডাকে। ’
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ আরো বাড়বে এবং দ্রুত রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস