হানিফ বলেন, দলে টানা ১১ বছর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নিয়ে অনেকে দলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু নির্দেশনা ছিল, যাদের বিরুদ্ধে নাশকতা, মাদক ও যুদ্ধপরাধীসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দলে নেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত দলের বিভিন্ন জায়গায় যে দু’একজন বিতর্কিত ব্যক্তি অনুপ্রবেশ করেছিলেন তাদের অপসারণ করা হবে। পাশাপাশি দলের যেসব নেতাকর্মী দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন তাদেরও নতুন কমিটিগুলোর পদ থেকে সরানো হবে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজ মাঠে আয়োজিত কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের আগে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ।
‘সকল দেশপ্রেমিক সংগঠন একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে’ বিএনপি নেতা আমির মাহমুদ খসরু মাহমুদ চৌধুরীর এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হানিফ বলেন, যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, যারা গণহত্যা চালিয়েছিল, মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করেছিল, ঘর জ্বালিয়েছিল, মা-বোনদের সম্ভ্রমহানী করেছিল, সেসব বিতর্কিত ব্যক্তিরা যদি তাদের কাছে দেশপ্রেমিক হয় তবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এদেশের জনগণই যথেষ্ট।
কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতার সঞ্চালনায় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সদস্য এস এম কামাল হোসেন, গোলাম রব্বানী চিনু, কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ কা ম সরোয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
এএটি