শনিবার (২৩ নভেম্বর) যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া একথা জানান শেখ পরশ। সকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের কংগ্রেসের উদ্বোধন করার পর বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বসে কাউন্সিল অধিবেশন।
সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনের এ অধিবেশনে কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান চয়ন ইসলাম যুবলীগের পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে পরশের নাম প্রস্তাব করলে বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ তা সমর্থন করেন। এ পদে আর কোনো নামের প্রস্তাব না ওঠায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন পরশ।
এ সময় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের ভেতরে-বাইরে হাজারো নেতাকর্মী বিপুল করতালি এবং স্লোগান দিয়ে পরশকে স্বাগত জানান।
প্রতিক্রিয়ায় ফজলে শামস পরশ আরও বলেন, রাজনীতির জন্য আমি, আমার ভাই শেখ ফজলে নূর তাপস ও আমরা মা-বাবা-স্বজন সব হারিয়েছি। আমাদের বেদনা শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী) এবং শেখ রেহানা অনুধাবন করেন। তাই আমি রাজনীতি থেকে অনেক দূরে ছিলাম। যে মানুষ (বঙ্গবন্ধু) রাজনীতির জন্য এত ত্যাগ শিকার করলেন, তাকে যখন ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হলো, তখন বেদনাহত হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমি বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাই। আমি যে দায়িত্ব পেয়েছি, আপনাদের পাশে থেকে একজন কর্মী হিসেবে তা যথাযথাভাবে পালনের চেষ্টা করবো। আপনারা আমার শক্তি হবেন। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রের কারণে তার সেই কাজ সমাপ্ত হয়নি। আজ প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্সের ডাক দিয়েছেন তা আমি দ্বিতীয় বিপ্লব হিসেবে দেখি। এই কর্মসূচি সফল করার জন্য কাজ করবো। আমি যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে নয়, একজন কর্মী হিসেবে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবো। আমার চেষ্টা থাকবে, যুবসমাজ যেন ‘আই হেইট পলিটিকস’ নীতি থেকে বেরিয়ে এসে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে কাজ করতে প্রেরণা পায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এসকে/এইচএ/