সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেন পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল।
এর আগে বিকেলে উপজেলার শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শ্রীরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শ্রীরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হাশেম ও রফিকুল আলম সভাপতি পদে প্যানেল দেন। দুই প্যানেলের একটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক রুহুল আমিন বাবুলের অনুসারী অপরটি স্থানীয় সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেনের অনুসারী।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগে সভাপতি পদের দু’গ্রুপের স্লোগান দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। মুহূর্তে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদ স্থানের দিকে ছুটতে থাকে সাধারণ মানুষ। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা শ্রীরামপুর এলাকা।
খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন রাউন্ড টিয়ার শেল ও ৫০ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে অন্তত ১৭ জন নেতাকর্মী ও সমর্থক আহত হন। এসময় নেতাকর্মীদের ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয় তিন পুলিশ। আহতরা পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আহতরা হলেন- রিশাদ (২০), শহিদুল ইসলাম (৩০), রিয়াদ (১৮), রায়হান (৩৫), কমিজ (৪০), রুবেল হোসেন (৩০), রুস্তম আলী (২৫), আব্দুল জলিল (৩৫), উজ্জল (৩৫), জবেদ আলী (৩৫), কাদের (৩২), হাবিবুল ইসলাম (২৫), তারেক (৩০), একরামুল হক (৩০), জহুরুল হক (৪০) ও ভুট্টু মিয়া (৩১) এবং তিন পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন।
এ ঘটনায় শ্রীরামপুর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে শ্রীরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষক সম্মেলন স্থগিত করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন্ত কুমার মোহন্ত বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষই এখনো মামলা দেয়নি। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করা হবে।
পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল বাংলানিউজকে বলেন, সভাপতি পদ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় সম্মেলন করার পরিস্থিতি নেই বিধায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপির নির্দেশনায় সম্মেলন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সম্মেলন হবে। তবে সৃষ্ট এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি বা মামলা করার সিদ্ধান্ত নেই বলেও জানান তিনি।
** আ’লীগের সম্মেলনে দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এসআরএস