বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন>> খালেদা জিয়া সন্ত্রাসের গডমাদার: প্রধানমন্ত্রী
সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য হিসাবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, প্রত্যেক জেলার একজন করে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২০ (শুক্রবার) ও ২১ ডিসেম্বর (শনিবার) আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনকে সামনে রেখে জাতীয় কমিটির এ সভা আহ্বান করা হয়।
সূত্র জানায়, সভায় জাতীয় কমিটির ১০/১২ জন সিনিয়র সদস্য বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তারা দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বলেন, যতদিন আপনি বেঁচে থাকবেন, আল্লাহ যতদিন হায়াৎ রাখবেন ততদিন আপনি আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকবেন। আপনি আমাদের আশা, ভরসার স্থল। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আপনাকেই সভাপতি দেখতে চায়।
সূত্র আরও জানায়, দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে জাতীয় পরিষদের সদস্যরা তা অব্যাহত রাখার তাগিদ দিয়েছেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, যে অভিযান শুরু করেছেন এটা মানুষের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে। এই অভিযান অব্যাহত রাখলে এবং দুর্নীতি, অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে মানুষ এমনিতেই আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকবে। আগামী নির্বাচনে মানুষ আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবে। এছাড়া দলে অনুপ্রবেশকারীরা যাতে কোনোভাবে কোনো কমিটিতে স্থান না পায় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়।
এ সময় জাতীয় কমিটির সদস্যরা কাজের সুযোগ চেয়েছেন। তারা বলেন, আমাদের সংগঠনে কাজের সুযোগ কোথায়। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের গঠনতন্ত্র তাদের পড়ে শোনান এবং বলেন, গঠনতন্ত্রেই জাতীয় কমিটির সদস্যদের কাজের সুযোগ আছে। আর অধিকার কেউ দেয় না আদায় করে নিতে হয়। জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতারা কি করেন সেটা জাতীয় কমিটির সদস্যরা দেখাশোনা করতে পারেন।
সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে এবং মানুষের কাছে যেতে ও সুসম্পর্ক রাখার জন্য দলের নেতাদের নির্দেশ দেন সভাপতি। এছাড়া কাউন্সিলে সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরার আহ্বান জানান। বক্তব্যের সময় জাতীয় কমিটির সিনিয়র সদস্যদের অনেকেই স্মৃতিচারণ করেছেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে স্মৃতি কথা লেখার পরামর্শ দিয়েছেন।
সূত্রগুলো আরও জানায়, সভায় আওয়ামী লীগের গত তিন বছরের কার্যক্রম অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া বার্ষিক ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। এই কাউন্সিলের আগ পর্যন্ত ৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বর্তমানে দলের তহবিলে ৫০ কোটি টাকা স্থিতি আছে বলেও সভায় জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
এসকে/এমইউএম/জেডএস