এজন্য মাঠে প্রস্তুত করা হয়েছে নৌকার আদলে মঞ্চ। ৪২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৪৫ ফুট প্রস্থের নির্মিত প্যান্ডেলে ৩০ হাজার মানুষের আসন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য। প্রধান অতিথি থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সন্মানিত অতিথি হিসেবে থাকবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি থাকবেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল হানিফ ও প্রধানমন্ত্রীর অথনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান।
প্রধান বক্তা থাকবেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। বিশেষ বক্তা থাকবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সংসদ সদস্য ও দলের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য মির্জা আজম, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র সেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, দলের শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম মিলন, শেখ সারহান নাসের তন্ময়। স্বাগত বক্তব্য দেবেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। পরিচালনায় থাকবেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ও জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী। এছাড়া বক্তব্য রাখবেন পঞ্চানন বিশ্বাস, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মো. আব্দুস সালাম মুর্শেদী, আক্তারুজ্জামান বাবু ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা।
দীর্ঘদিন পর গুরুত্বপূর্ণ এ দুই ইউনিটের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনার যেন শেষ নেই। শেষ মুহূর্তে দলের সবাই তাকিয়ে আছেন কেন্দ্রের দিকে। কাদের দেওয়া হবে ‘গুরু দায়িত্ব’-এ প্রশ্ন এখন সর্বমহলে ঘুরপাক খাচ্ছে।
সম্মেলনকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সম্মেলনে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী। নিরাপত্তার জন্য এক সপ্তাহ আগে থেকেই সম্মেলনস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া সম্মেলনের দিন সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বেশি জোরদার করা হবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) পক্ষ থেকে।
কেএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বাংলানিউজকে বলেন, সমগ্র সমাবেশস্থল সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ মাঠে থাকবে। আর সমাবেশস্থলের আশপাশে পুলিশের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান থাকবে। এছাড়া পুলিশের বিশেষ সংস্থা সিটিএসবি বিশেষ নিরাপত্তায় কাজ করবে। নগরীতে যাতে যানজট সমস্যা না থাকে সেজন্য ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ টিম দায়িত্ব পালন করবে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সমাবেশ স্থলসহ কোন স্থানে যাতে বিশৃঙ্খলা না ঘটে সেজন্য কঠোর পুলিশি নজরদারি থাকবে।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর ও ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলেন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
এমআরএম/ওএইচ/