বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে রায়ের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিচার বিভাগ পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। খালেদা জিয়ার মামলা দুর্নীতির মামলা। এখানে সরকারের করার কিছু নেই। খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আদালতের ওপর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ নেই। তার জামিন আদালতের বিষয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে শুদ্ধি অভিযান চলছে, তৃণমূলেও তা অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাজ করছে। সারাদেশের দুর্নীতিবাজদের তালিকাও তারা করেছে। তালিকা ধরে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অপকর্ম করে কেউই ছাড় পাবে না। দুর্নীতির অভিযান সারাদেশে চলমান রয়েছে। দেখে-শুনে সব দুর্নীতিবাজকে গ্রেফতার করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চে এ মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়। এসময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মেডিক্যাল বোর্ডের পাঠানো প্রতিবেদন আদালতের কাছে পেশ করেন।
পরে এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শুরু করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। শুনানি শেষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এদিন দুপুর ১২টায় কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।
এর আগে ২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এফইএস/এসএ/