বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ভবনে আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পিকেএসএফ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, আমাদের গ্রামে কে রাজাকার কে মুক্তিযোদ্ধা আমরা সবাই জানি। সুতরাং যাই করুন না কেন সর্তকতার সঙ্গে করতে হবে। কোনোভাবেই সম্মান ক্ষুণ্ন করা যাবে না।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যোতির্ময় ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন বাঙালির মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। বারবার কারাবরণ, শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার আর নিপীড়ন সত্ত্বেও বাংলার গণমানুষের মুক্তি লড়াই থেকে পিছপা হননি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দু’টি স্বপ্ন ছিল। একটি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা। অপরটি, বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। প্রথমটি অর্জন করে গেছেন বঙ্গবন্ধু তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে, এবং অপরটি তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জানান তিনি।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতা ও মুক্তির ডাক দিয়েছিলেন, তা পুরোপুরি অর্জিত হয়নি। স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, তবে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম এখনও চলছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার আহ্বান জানান এ প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ।
পিকেএসএফ’র সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
এসএমএকে/ওএইচ/