বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের মঞ্চ ও ভেন্যুর প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাউন্সিলরদের মাইন্ডসেট বোঝেন।
এবারের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দল ও সরকার আলাদা হচ্ছে কি-না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দল ও সরকার কীভাবে আলাদা হবে? আওয়ামী লীগ সভাপতি দলেরও প্রধান, আবার সরকারেরও প্রধান। আমাদের বিকল্প আছে, নেত্রীর বিকল্প নেই।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন হবে। পরেরদিন (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন।
সম্মেলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা নতুন-পুরনো মিলে আওয়ামী লীগকে একটা উপযোগী শক্তি হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আগামীকালের সম্মেলন নিয়ে একটা উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। এটি একটি ঐতিহাসিক আয়োজন। শীতের তীব্রতার মধ্যেও সম্মেলনে আসতে নেতাকর্মীদের ঢল প্রবল হচ্ছে। সারাদেশ থেকে শুক্রবার অসংখ্য নেতাকর্মী এ ঐতিহাসিক আয়োজনে যোগ দেবেন।
তিনি বলেন, বিজয়কে সংহত করার পথে কিছু কিছু বাধা আছে, চ্যালেঞ্জ আছে। এখনো তলে তলে বড় ধরনের হামলা হতে পারে। সাম্প্রদায়িক শক্তি ও জঙ্গিবাদ সক্রিয় হতে পারে। এখনো ভেতরে ভেতরে তাদের শক্তি কাজ করছে। সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবৃক্ষ, তার মূল উৎপাটন করতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, সব সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতাও থাকে। আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটিকে মূল্যায়ন করবে বাংলাদেশের জনগণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
এসকে/একে