তবে এবারের সম্মেলনে সবার দৃষ্টি দলের সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন তা নিয়ে। এরই মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সহ আরও বেশ কয়েকজন নেতা।
কমিটি গঠনে কাউন্সিলররা সাধারণত দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দেন। সে অনুযায়ী পর্যাক্রমে কমিটির বাকি সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন তিনি।
বিকেলে উদ্বোধনের পর অনুষ্ঠিত হবে প্রথম অধিবেশন। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলন সফল করতে ১১টি প্রস্তুতি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলো দিন-রাত কাজ করে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দলের এবারের সম্মেলনের ব্যয় ধরা হয়েছে চার কোটি টাকা। এতে কাউন্সিলরের সংখ্যা সাড়ে সাত হাজার। ডেলিগেটস হবে প্রায় ২০ হাজার। সবমিলে ৫০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী, সমর্থক সম্মেলনে সমবেত হবে বলে ধারণা।
সম্মেলনের মঞ্চ ও প্যান্ডেল করা হয়েছে পদ্মাসেতুর আদলে। এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যতগুলো সম্মেলন হয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্যান্ডেল এটি। মঞ্চের উচ্চতা দেওয়া হয়েছে ২৮ ফুট। দৈর্ঘ্য ১৫০ ফুট।
পেছনের ব্যানার ছাড়া সম্পূর্ণ ডিজিটাল মঞ্চ করা হয়েছে। ডিজিটাল ডিসপ্লেতে পদ্মার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। ইতোমধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশ, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দলের সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে সাজসজ্জা করা হয়েছে।
প্যান্ডেলে ২৮টি এলইডি পর্দায় সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তুলে ধরা হবে। এছাড়া সম্মেলনের শৃঙ্খলা রক্ষা ও সার্বিক সহযোগিতার জন্য আওয়ামী লীগের কর্মীদের নিয়ে গঠিত দুই হাজার সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক টিম কাজ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
এসএইচ