গত বছর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় সংলাপে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আওয়ামী লীগের সম্মেলনে। তবে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট ছাড়াও আওয়ামী লীগের পুরনো জোটসঙ্গী কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কাউকে সম্মেলনে দেখা যায়নি।
আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ একটি প্রতিনিধি দল। ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করা তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সংহতি জানাতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে অংশ নেওয়া প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যরিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতি, মুজিবুল হক চুন্নু, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল।
১৪ দলের শরিক ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ঐক্য ন্যাপের পঙ্কজ ভট্টাচার্য, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আকতার, তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি, সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির শহীদুল্লাহ সিকদার, শাহাদাৎ হোসেন, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন, গণআজাদী লীগের এসকে সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন সম্মেলনে।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এসেছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, শিক্ষাবিদ ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ। ছিলেন বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়ন উল্লেখ্যযোগ্য।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে দলের কাউন্সিল অধিবেশন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
এসকে/একে