শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দলটির ২১তম জাতীয় সম্মেলনে এই দুটি সংগঠনকে সহযোগী সংগঠনের মর্যাদা দিয়ে দলীয় গঠনতন্ত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এর আগে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ ও আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ নামে দুটি সংগঠন আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিল।
এছাড়া মৎস্যজীবীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা মৎস্যজীবী লীগকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন করার দাবি তোলা হয়েছিল। এই সংগঠনটিকেও এবারের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের মর্যাদা দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিনে দলের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র অনুমোদন হয়। গঠনতন্ত্রে এই দুটি সংগঠনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এনিয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সংখ্যা দাঁড়ালো আটে।
সহযোগী সংগঠনগুলো হলো- যুবলীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতী লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং মৎস্যজীবী লীগ।
এছাড়া ভাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে রয়েছে ৩টি। এগুলো হলো– ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ।
কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদকের পদ বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য করা হয়েছে। প্রতিটি উপ-কমিটিতে পাঁচজন করে সদস্য রাখা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ৪১ থেকে বাড়িয়ে ৫১ করা হয়েছে।
এছাড়া গঠনতন্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের বিধান অনুযায়ী দলের সর্বস্তরের কমিটিতে ৩৩ ভাগ নারী কোটা পূরণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এসকে/এমইউএম/এইচএডি/