শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আাওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের ৪র্থ ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ‘তুমুল আন্দোলন’ আমরা দেখেছি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কোনো রাজনৈতিক বন্দি নন যে তাকে আন্দোলন করে মুক্ত করা যাবে। দুর্নীতির দায়ে তাকে সাজা দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্ত করতে বিএনপির আন্দোলনের হুমকি আইন ও আদালত অবমাননার শামিল।
মন্ত্রী বলেন, ঐক্যফ্রন্ট গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। নির্বাচিতরা শপথ নিয়েছে, এমনকি মহিলা এমপি কোটাও তারা পূর্ণ করেছেন। এমপি হিসেবে সংসদ থেকে সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আবার সেই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা নিজেদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। আন্দোলন-সমাবেশের আগে তাদের পদত্যাগ করা উচিত ছিল।
তিনি বলেন, গত এক দশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বের সর্বোচ্চ দেশে রূপান্তরিত হওয়া যারা সহ্য করতে পারে না, তারাই দেশের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এসময় ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, মোজাফফর হোসেন পল্টু, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের উপদেষ্টা সৈয়দা রোকেয়া বেগম প্রমুখ।
বাংরাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
একে