বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তিনি। পরে শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালতে শফিকুলের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান মানিক ও শাহিনুর রহমান। দুদকের হয়ে মীর আহম্মেদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন।
দুদক আইনজীবী মীর আহম্মেদ আলী সালাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শফিকুল যুবলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও শিক্ষা ভবনের ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ঢাকা-১ কমিশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে গত ২২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৪ কোটি ৪১ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, শফিকুল ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত তার আয়কর নথিতে মোট সাত কোটি ১২ লাখ ৩৭ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট তথ্য বিশ্লেষণে এসব সম্পদের অর্জন মূল্য অনেক বেশি। এছাড়া সম্পদ অর্জনের পক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পায়নি দুদক।
দুদকের হিসাবে ১৪ কোটি ৪১ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন শফিকুল। এছাড়াও তিনি অবৈধ উপায়ে নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
কেআই/টিএ