সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে লোহাগড়া-নড়াইল সড়কের টি-চরকালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বদর খন্দকার লোহাগড়া ইউনিয়নের চরবগজুড়ি গ্রামের ময়ের আলীর ছেলে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য ছিলেন।
পুলিশ জানায়, বদর খন্দকার মোটরসাইকেলে তার ইটভাটা থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তিনি লোহাগড়া-নড়াইল সড়কের ওই স্কুলের সামনে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুমনা খানম বাংলানিউজকে জানান, ধারালো অস্ত্রের কোপে তার বাম হাতের তিনটি আঙ্গুল পড়ে গেছে। ডান হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন। দুই পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা, মোবাইল, একটি খালি কালো ব্যাগ ও দুটি স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি অজ্ঞান থাকায় তার সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। তবে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে হামলা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
এনটি