বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ইদানিং হঠাৎ করেই টেলিভিশন সাংবাদিকদের ছাঁটাই করা হচ্ছে।
মালিকপক্ষকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে কাউকে যেকোনো সময় এভাবে ছাঁটাই করবেন না। একজনকে ছাঁটাই করতে হলে আইন মেনে ছাঁটাই করুন। সংবাদপত্র টিকিয়ে রাখার জন্য সাংবাদিকের প্রয়োজন। সাংবাদিক ছাড়া কোনোমতেই মিডিয়া চলবে না। তাই সাংবাদিকদের কাজ শুরুর আগে নিয়োগপত্র হাতে নেওয়ার পরামর্শ দেন। হাতে নিয়োগপত্র থাকলে ছাঁটাইয়ের সময় সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ১১ বছর আগে সাড়ে ৪০০ দৈনিক পত্রিকা ছিল। বর্তমানে সেই সংখ্যা সাড়ে ১২০০ তে উন্নীত হয়েছে। ১১ বছর আগে দেশে দশটি টিভি চ্যানেল ছিল। বর্তমানে ৩৪টি টিভি চ্যানেল আছে। দেশে বর্তমানে ৩৫ হাজার অনলাইন পত্রিকা রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেছে। আইপিটিভির জন্য ৫০০ আবেদন জমা আছে।
তিনি বলেন, গত ১১ বছরে দেশে গণমাধ্যমে বিপুল অগ্রগতি হয়েছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের দেশগুলোতে পত্রিকা-গণমাধ্যমের সংখ্যা কমেছে, সেখানে বাংলাদেশে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বোঝা যায় বাংলাদেশ সরকার গণমাধ্যম বান্ধব হওয়ায় এত অগ্রগতি হয়েছে। তবে এই অগ্রগতির পরেও কিছু কিছু চ্যালেঞ্জ আমাদের মাঝে দেখা দিয়েছে। সেগুলো সাংবাদিকদের পাশাপাশি সরকারিভাবেও সমাধানের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা হচ্ছেন জাতির বিবেক, দেশের বিবেক। একজন সাংবাদিকের লেখনীতে সমাজ, রাষ্ট্র, সরকার দিকনির্দেশনা পায়। একজন সাংবাদিক ভাষাহীনকে ভাষা দিতে পারে। ক্ষমতাহীনকে ক্ষমতা দিতে পারে। তাই সমাজের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য সাংবাদিকের গুরুত্ব অনেক।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি আবু জাফর সূর্যের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
পিএস/টিএ