বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ১৪ দলের জরুরি সভা শেষে তিনি প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। মোহাম্মদ নাসিমের ধানমন্ডির বাসভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে। বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে তাদের আটক করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো উদারতা ও দয়া-মায়া দেখানো যাবে না। এছাড়া করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে যেখানে প্রয়োজন সেখানেই লকডাউন করতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিদেশ থেকে করোনা শনাক্তকরণ কিট ও ডাক্তার-নার্সদের সুরক্ষার জন্য পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
নাসিম বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। এই প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে না যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। দেশে পর্যাপ্ত করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ কিট নেই। এ কারণে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়নি। ঢাকার আইইডিসিআর, এই একটি জায়গায় রোগ শনাক্ত করার কেন্দ্র আছে। রোগ শনাক্তকরণ কেন্দ্র আরও কয়েকটি করতে হবে। কিটও বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে পাঠাতে হবে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকারি ও অভিজ্ঞ বেসরকারি ডাক্তারদের কাজে লাগাতে হবে। পাশাপাশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবার সঙ্গে জড়িত ডাক্তার-নার্সসহ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের কেউ যেন সংক্রমিত না হন, সেজন্য তাদের প্রত্যেকের জন্য পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) দিতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ ১৪৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২০
এসকে/টি