বুধবার (০১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন- বিএফইউজে এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজে নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাংবাদিকরা বিএনপির দেওয়া জাতীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী প্রতিবেশী দেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী লিখিতভাবে সেদেশের প্রধানমন্ত্রীকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের নানা উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজের কথা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
‘বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য এ সংকট মোকাবিলায় তাদের হাত প্রসারিত করার উদ্দেশে নয়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের চিরাচরিত স্বভাব অনুযায়ী এই দুর্যোগ মুহূর্তে সরকারের ভুল না থাকলেও সেটা খোঁজার চেষ্টা করছে। তাদের দলের পক্ষ থেকে রিজভী সাহেবসহ অনেকেই সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বক্তব্য রেখেছেন।
আমরা বারবার বলেছি, বিএনপি আমাদের সঙ্গে থেকে কাজ করতে পারে, কোনো বাধা নেই, আমরা স্বাগত জানাব। তাদের যদি কোনো পরামর্শ থাকে, তারা দিতে পারে, বলেন হাছান মাহমুদ।
এসময় বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ এবং ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু মন্ত্রীর কাছে করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের কয়েক দফা দাবির একটি পত্র হস্তান্তর করেন।
মন্ত্রী পত্রটি গ্রহণ করেন এবং বৈশ্বিক এ দুর্যোগ, যা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত থাকেনি, এই প্রতিকূল পরিবেশে সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, মানুষকে সচেতন করতে এবং কেউ যাতে জনমনে গুজব-বিভ্রান্তি-আতঙ্ক ছড়াতে না পারে সেজন্য গণমাধ্যম ও সরকার আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। সে বিষয়ে আলোচনায় ঐকমত্য হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
টিএ