বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি সেবাদানকারী সংস্থাপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, দেশে যখনই কোনো বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়, কোনো দুর্যোগময় পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন কিছু মানুষ গুজব সৃষ্টি করে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায়।
সেগুলো সরকারের পক্ষ থেকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং যারা এই কাজগুলো করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। তাই গুজব তৈরি করার চেষ্টা দয়া করে করবেন না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি বিদেশ থেকেও অনেক ধরনের গুজব তৈরি করা হচ্ছে। বিদেশে যেসব বাংলাদেশি বিভিন্ন কাজে গেছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা হয়তো মনে করছেন তারা বিদেশে আছেন বিধায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে! যেহেতু তারা বাংলাদেশের নাগরিক, সেহেতু বাংলাদেশের নাগরিক যেখান থেকেই অপকর্ম করুক না কেন সরকার আইনগতভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে এবং সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কাটতি বাড়াতে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন না করারও আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।
‘আমি সব সংবাদ মাধ্যমের সম্মানিত কর্মকর্তা, সাংবাদিক ভাই-বোনদের অনুরোধ জানাবো, আমাদের লক্ষ্য হবে জনগণ যেন সঠিক সংবাদ ও সঠিক তথ্য পায়।
সংবাদের কাটতির জন্য আমরা কেউ যেন জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বা বিভ্রান্তি তৈরি হয় এমন সংবাদ পরিবেশন না করি। ’
গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সব দেশের মানুষ যখন ঘরে অবস্থান করছে তখন গণমাধ্যমকর্মীরা মানুষের কাছে সংবাদ পরিবেশন করার জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন।
তথ্যমন্ত্রী জানান, আজকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, তথ্য অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পর্যায়ের কর্মকর্তারা স্ব-স্ব অফিসে দায়িত্ব পালন করবেন। সঠিক সংবাদ পরিবেশন করা এবং করোনা ভাইরাসের কারণে এই দুযোগের এই পরিস্থিতিতে জনগণকে সঠিক তথ্য দেওয়া। একইসঙ্গে মানুষে যাতে সচেতন হয় এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে তারা যাতে ঘরে থাকে এ বিষয়গুলো তদারক করার দায়িত্ব।
যারা কেবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন মানুষ টেলিভিশন দেখছে এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে তথ্য পাচ্ছে। কেবল নেটওয়ার্ক যাতে কোনো জায়গায় ব্যত্যয় না ঘটে সেদিকে নজর রাখবেন। কোনো জায়গায় ব্যত্যয় ঘটলে প্রশাসনের সহায়তা গ্রহণ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২০
এমআইএইচ/এএটি