ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মোহাম্মদ নাসিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২০
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মোহাম্মদ নাসিম মোহাম্মদ নাসিমকে দাফন করা হচ্ছে। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: যথাযথ শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

রোববার (১৪ জুন) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয় মোহাম্মদ নাসিমকে।

এ সময় মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয়সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

তবে স্বাস্থ্যবিধি থাকায় সীমিত সংখ্যক মানুষকে এ সময় কবরস্থানে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়।

দাফনের আগে তানভীর শাকিল জয় মোহাম্মদ নাসিমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।

এর আগে এই দিন সকাল ১০টা ২০মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মোহাম্মদ নাসিমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে মরহুমের প্রতি ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন>>>বনানী কবরস্থানে নাসিমের জানাজা সম্পন্ন

এ সময় মোহাম্মদ নাসিমের মরদেহে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিবুর রহমান এবং রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সহকারী সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাজু ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

পরে মরহুমের প্রতি ফুল দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

এর আগে সকাল ৯টায় রাজধানীর সোবহানবাগ জামে মসজিদে মোহাম্মদ নাসিমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে জানাজার অয়োজন করা হয়। জানাজায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ৷

এর আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্র বর্ষীয়ান জননেতা মোহাম্মদ নাসিম গত ৫ জুন ভোরে ব্রেন স্ট্রোক করেন। ওই দিনই জরুরিভাবে তার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাকে ৪৮ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন। পরে গত ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৫ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। বিকেলে মেডিক্যাল রোর্ড সভা করে তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করেন। চিকিৎসকদের বোর্ড তাকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন। ওই সময়ের মধ্যে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ডিপ কোমাতে রাখা হয়।

গত ১ জুন সকালে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। পরে রাতে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে পজিটিভ আসে। তবে পরদিন থেকে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু গত ৫ জুন সকালে মোহাম্মদ নাসিম ব্রেন স্ট্রোক করেন।

এর আগে ওয়ান ইলেভেনের সময় কারাবন্দি অবস্থায় স্ট্রোক করেছিলেন নাসিম। এবার ছিল তার দ্বিতীয় দফায় স্ট্রোক। এ অবস্থায় গত ৯ জুন তার পুনরায় করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। ওইদিন করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হওয়ায় বিদেশ নেওয়ার মতো অবস্থা থাকে না। ফলে চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

শনিবার (১৩ জুন) সকাল ১১টা ১০মিনিটে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ নাসিম শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২০
এসএইচএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ