বুধবার (১৭ জুন) বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক ফারুক সরকার বাদী হয়ে একটি এবং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রীর ছেলে চেয়ারম্যান আশিকুর লাজুক বিশ্বাস বাদী হয়ে অপর মামলাটি দায়ের করেন।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বুধবার মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
অপরদিকে, আশিকুর রহমান লাজুক বিশ্বাস বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আরমান হোসেন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াদ আহম্মেদসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার তদন্ত চলছে, আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেলকুচির ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের জোকনালা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত পুকুর নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ৬ জুন শালিসি বৈঠক ডাকা হয়। ওই শালিসে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজার নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন উপস্থিত হন। শালিস বিলম্বে শুরু হওয়ায় তারা প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস নিয়ে চলে যান।
অপরদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন শালিসে আসছিলেন। আসার পথে সগুণা এলাকায় দু’পক্ষ মুখোমুখি হলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে লতিফ বিশ্বাস গ্রুপের নেতা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ গুলিবিদ্ধ হন এবং তার পেটে খুর দিয়ে জখম করা হয়। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। অপরপক্ষে, যুবলীগ নেতা রেজা গ্রুপের নাজমুলসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ সংঘর্ষের সময় অন্তত ৪০টি মোটরসাইকেল, একটি মাইক্রোবাস ও ট্রাক ভাঙচুর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
এনটি