তবে গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা, সরকার ও প্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে সাহেদের ছবি দেখা যাচ্ছে। সাহেদ নিজেকে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য বলে বিভিন্ন জায়গায় পরিচয়ও দিতেন।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব শাম্মী আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি সাহেদ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটিতে নেই। এই নামে কাউকে উপ-কমিটির সদস্য করা হয়নি।
নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত মো. সাহেদ দলের কেই নন বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা দাবি করলেও আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবেই তার সমালোচনা চলছে সবখানে। দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক ব্যক্তির সঙ্গে অভিযুক্ত সাহেদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে আসায় আওয়ামী লীগের নেতারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন।
শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে মো. সাহেদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসছে। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানির সঙ্গেও সাহেদের ছবি দেখা গেছে। এছাড়া এক ছবিতে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতার সঙ্গে এক মিটিংয়েও তাকে দেখা যাচ্ছে, যে ছবি ফেসবুকে ঘুরছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে ছবি তোলাও ছিল সাহেদের প্রতারণার অংশ। সুযোগ বুঝে ছবি তুলে সেটা তিনি তার প্রতারণার কাজে ব্যহার করেছেন। নিজেকে ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী হিসেবে তুলে ধরতে সাহেদ কৌশলে এসব করে থাকতে পারেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কীভাবে তিনি হাসপাতালের অনুমতি পেলেন, সরকারি প্রশাসন কীভাবে তার হাসপাতালের অনুমতি দিল, সেটা অনুসন্ধান করা দরকার।
আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, তার যে সব কর্মকাণ্ড প্রকাশ হচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে, তিনি একটা বড় মাপের প্রতারক। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা করতেই এসব করেছেন।
সাহেদের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ব্যক্তিগতভাবে তার সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। তিনি আওয়ামী লীগের কেউ না। আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে তিনি নেই।
আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মো. সাহেদের একটি মিটিংয়ের যে ছবি ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে সে সম্পর্কে দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ বলেন, তিনি একদিন আমাদের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিক হিসেবে এসেছিলেন। সাংবাদিক পরিচয়ে একটা ছবি তুলতে চেয়েছিলেন, তখন না করি কীভাবে?
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
এসকে/এমজেএফ