বাহরাইন: ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দের দিন। ১৯৭১ এর এই দিনে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অস্ত্র ফেলে মাথা নিচু করে আত্মসমর্পণ করেছিল বীর বাঙালির সামনে।
বাহরাইনের প্রবাসীদের কাছে ১৬ ডিসেম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ১৬ ডিসেম্বর বাহরাইনেরও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাহরাইন যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাহরাইনের বিভিন্ন সামাজিক,রাজনৈতিক,স্বেচ্ছাসেবী ও আঞ্চলিক সংঘঠনগুলো।
১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৮টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল কে এম মোমিনুর রহমান।
স্থানীয় কমিউনিটির সহযোগিতায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ স্কুল যৌথভাবে দুইদিন ব্যাপী বিজয় আনন্দ মেলার আয়োজন করেছে।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বাহরাইনের আ’লীর বাংলাদেশ স্কুল গ্রাউন্ডে দুইদিন ব্যাপী জমকালো বিজয় আনন্দ মেলা উদ্বোধন করা হবে।
বিকেল ৩টায় মানামায় বাহরাইনে প্রবাসী তরুণদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন “প্রবাসে আমরা” আয়োজন করছে বিশাল বিজয় শোভাযাত্রার। বাংলাদেশ এবং বাহরাইনের পতাকা দিয়ে প্রায় ১০০টি গাড়ি সাজিয়ে মানামা বাসস্ট্যান্ডের পেছনের গালফ গেট হোটেলের পাশের খেলার মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হবে। যা এক্সিবিউশন রোড দিয়ে রিফা হয়ে আবার মানামা এসে শেষ হবে।
এ ছাড়া ও দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ,বিএনপি,যুবলীগ,শ্রমিকলীগ,বঙ্গবন্ধু পরিষদ,বাংলাদেশ সমাজ,সোসাইটিসহ বিভিন্ন সামাজিক,রাজনৈতিক,স্বেচ্ছাসেবী ও আঞ্চলিক সংগঠন।
মহাসড়কের রাস্তাগুলো নানা রঙের বাতি দিয়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে,বড় ভবনগুলোতে ভিন্নমাত্রা পেয়েছে রঙিন বাতির ঝলকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬
এসআই