বছর দশেক আগে পরিবারের আর্থিক মুক্তির আশায় ফ্রি ভিসায় বাহরাইনে আসেন বারেক। সেখানে গিয়ে মালিক না পেয়ে ২ বছর পর ভিসা রিনিউ করতে ব্যর্থ হয়ে অবৈধ হয়ে পড়েন তিনি।
মাস দুয়েক আগে একটি গাড়ির পাইপ কাটতে গিয়ে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তার মুখ ও বাম পা মারাত্মকভাবে আহত হয়। আহত অবস্হায় সালমানিয়া মেডিকেল কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে ডাক্তাররা তাকে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু বাম পায়ের হাড় থেকে মাংস আলাদা হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে দেশে ফেরত যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালের বিল ও প্লেনের টিকিট নেয়ার সামর্থ্য না থাকায় দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি।
দুই মাস ধরে আহত বারেকের সঙ্গে আছেন তার ভাই ফারূক। বাংলানিউজকে তিনি জানান, বারেক দুর্ঘটনায় অনিশ্চয়তায় মুখে পড়ায় তার ৯ ও ১২ বছরের দুই মেয়ের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফসলি জমি বর্গা দিয়ে বাহরাইনে আসায় আমাদের দরিদ্র পরিবার এখনো ঋণমুক্ত হতে পারেনি।
সবকিছু হারিয়ে মানবিক সাহায্যের জন্য বাহরাইনের বাংলাদেশ দূতাবাসের হাজির হন ফারূক। বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) কে এম মমিনুর রহমান হাসপাতালে লোক পাঠিয়ে তার ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম ) শেখ মো. তৌহিদুল ইসলাম দরিদ্র বারেকের চিকিৎসা ও দেশে ফেরত যাবার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে তার ভাইয়ের হাতে নগদ ৫৪ হাজার টাকা তুলে দেন।
দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম ) শেখ মো. তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মানবিক দিক বিবেচনা করে দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাকে যথাসাধ্য সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ ) রাত ১০টায় গালফ এয়ারের একটি ফ্লাইটে তিনি তার ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে হুইল চেয়ারে দেশে যাবেন। ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে সরকারি ব্যবস্হাপনায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য পৌছে দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৭
জেডএম/