বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিকেলে গুদাইবিয়ার পাকিস্তানি মসজিদের পাশে একটি ফ্ল্যাটে নিজের কক্ষ থেকে তার সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শামসুল বাহরাইনের ফাহাদ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আল দোসারী নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফ্রি ভিসায় এখানে এসেছিলেন, কিন্তু ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ না পেয়ে নিউ টাচ নামক একটি সাপ্লাই কোম্পানিতে যোগ দেন।
তার রুমমেট ও সহকর্মীরা বাংলানিউজকে জানান, প্রতিদিনের মতো ভোর সাড়ে ৫টায় তারা কর্মস্থলে যাওয়ার সময় শামসুলকে ডাকেন। কিন্তু তিনি জানান, শরীর খারাপ বলে বাসায় বিশ্রাম নেবেন। কাজ শেষে রুমমেটরা বাসায় ফিরে দেখেন, ভেতর থেকে দরজা লক করা। পরে সেই তালা ভেঙে রুমে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে শামসুলের মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ বাহরাইনের পুলিশ ও বাংলাদেশ দূতাবাসের জনকল্যাণ প্রতিনিধি তাজ উদ্দীন সিকান্দার ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে পুলিশ শামসুলের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরির জন্য নিয়ে যায়।
সহকর্মীরা জানান, শামসুল ৭ মাস আগে তার চাচাতো বোনের জামাই মাহবুল আলমের মাধ্যমে ফ্রি ভিসায় বাহরাইন আসেন। কিন্তু কাজ না পেয়ে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। পরে শামসুল বাধ্য হয়ে নিউ টাচে স্বল্প বেতনে কাজ শুরু করেন।
শামসুলের বোন মারিয়া মোবাইলফোনে বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার তার ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে সবার কথা হয়েছে। কিন্তু কেন তিনি আত্মহননের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন, এ ব্যাপারে তারা কিছু বুঝতে পারছেন না।
শামসুলের মরদেহ এখন স্থানীয় সালমানিয়া মেডিকেল কমপ্লেক্স হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
এইচএ/