নিহতরা হলেন- শরীয়তপুরের জাজিরা থানার বিকিনগর এলাকার কদম মাতবর গ্রামের সালাম মাতবরের ছেলে সুমন মাতবর, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানার সৈয়দপুর এলাকার কবির মিয়ার ছেলে হারুন, মাদারীপুর জেলার পাঁচচর থানার ফারুক মিয়ার ছেলে শাওন।
প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয় ফায়ার কর্মীরা।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) শেখ তৌহিদুল ইসলাম, জনকল্যাণ প্রতিনিধি তাজ উদ্দীন শিকান্দার, বাহরাইনের সিআইপি সফি উদ্দীন, আওয়ামী লীগ সভাপতি আলাউদ্দিন নুর, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সভাপতি কয়েস আহমেদ, যুবলীগ সভাপতি এম এ করিম, বাংলাদেশ সোসাইটির আবুল বাশার ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের মধ্যে কাপড়, জুতা ও খাবার বিতরণ করেন।
ভবনের বাসিন্দারা বাংলানিউজকে জানায়, ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং তা মুহূর্তের মধ্যে দ্বিতল ভবনের ১৪টি রুমে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভবনের জানালা দিয়ে গামচা ও রশি দিয়ে অনেকে নিচে নেমে রক্ষা পায়। অপেক্ষাকৃত ভেতরের রুমে থাকা তিনজন দগ্ধ হয়ে মারা য়ায়।
অগ্নিকাণ্ডে ভবনের ৭০ জন বাসিন্দার প্রায় সবকিছু পুঁড়ে গেছে।
বাংলাদেশ দূতাবাস প্রথম সচিব (শ্রম ) শেখ মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, দূতাবাস ও কমিউনিটির তত্ত্বাবধানে ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। যাদের পাসপোর্ট পুড়ে গেছে, যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়া হবে। এ সময় তিনি অবস্থাসম্পন্ন প্রবাসীদের যতটা সম্ভব ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
এসএইচ