ঢাকা: দাদা-দাদী, নানা-নানী, চাচা-চাচী মিলে এক মধুর সংসার গড়ে উঠেছিল প্রাচীন বাংলাদেশে। আবহমানকাল ধরে এ পরিবার প্রথা বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের সামাজিক বন্ধন শুধু সুদৃঢ় ভিত্তিই দেয়নি, গড়েছে অনাবিল পরিবেশ।
সংসার ভেঙে যাওয়ার নানা কারণ অনুসন্ধান করেছে বাংলানিউজ আর তা নিয়ে তিন পর্বের ধারাবাহিকের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।
বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কসহ নানা কারণে ভাঙছে সংসার, বাড়ছে বিচ্ছেদের হার। এককভাবে পুরুষ কিংবা নারী নন, উভয়পক্ষ থেকেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যাচ্ছে। দেশে দিন দিন এমন বিচ্ছেদের ঘটনার মিছিল দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
বিচ্ছেদ নিয়ে নানা ধারণা প্রচলিত আছে। আইনি প্রক্রিয়া মেনে যে কোনো দম্পতি যে কোনো বয়সেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে বিচ্ছেদ বৈধ প্রক্রিয়া হলেও উৎসাহিত করার মতো কোনো বিষয় নয়। কারণ এর ফলে সন্তানের ভবিষ্যৎ পড়ে অনিশ্চয়তার মুখে, ভেঙে পড়ে সমাজের কাঠামো।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রথমবারের মতো বিয়ে ও তালাক সংক্রান্ত ২০২২ সালের একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায়, দেশে বিয়েবিচ্ছেদের হার তুলনামূলক বেড়েছে।
‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২’ শীর্ষক ওই পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে বিচ্ছেদের হার শূন্য দশমিক ৬ থেকে ১ দশমিক ১–এর মধ্যে ওঠানামা করে। আর ২০২২ সালে তা বেড়ে ১ দশমিক ৪ এ দাঁড়ায়।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ সালে নারীদের পক্ষ থেকে সাধারণ বিয়েবিচ্ছেদের হার ছিল ২ এর সামান্য কম। তা পরের বছর বেড়ে ৩ দশমিক ৬-এ দাঁড়ায়। একইভাবে পুরুষের ক্ষেত্রে বিচ্ছেদের হার ২০২১ সালে ছিল ২ এর সামান্য বেশি। পরের বছর তা বেড়ে ৩ দশমিক ৮ এ দাঁড়ায়। আর শহরের তুলনায় গ্রামে বিয়েবিচ্ছেদ বেশি।
বিবিএসের পরিসংখ্যানের বাইরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের তথ্য বলছে, বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন সাধারণত বেশি করেন নারীরা। ২০২২ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মোট বিচ্ছেদ হয় সাত হাজার ৬৯৮টি। এর মধ্যে স্ত্রীরা আবেদন করেন ৫ হাজার ৩৮৩টি, যা মোট আবেদনের ৭০ শতাংশ। ঢাকা উত্তরের চিত্রও প্রায় একই। তাতে বিচ্ছেদের আবেদনের ৬৫ শতাংশ নারীর।
কেন বিয়ে বিচ্ছেদ বাড়ছে, এমন প্রশ্নে বিবিএসের ওই পরিসংখ্যান বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ককে তালিকার প্রথমে রেখেছে। এতে দেখা যায়, ২৩ শতাংশ ক্ষেত্রে বিচ্ছেদের কারণ বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক। আর ২২ শতাংশ ক্ষেত্রে দাম্পত্য জীবনের দায়িত্বহীন আচরণকে দোষারোপ করা হয়েছে।
কেন তাসের ঘর হচ্ছে সংসার
বাংলানিউজ কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে, যারা একান্নবর্তী পরিবারে বেড়ে উঠেছেন এবং তাদের অধিকাংশই গ্রামীণ জীবন যাপন করেছেন। এসব পরিবারের নারী এবং পুরুষ উভয়ের মতে, বিয়ে হলো সামজিক বন্ধন। দাম্পত্য জীবনে যতই চড়াই–উতরাই থাকুক না কেন শেষ পর্যন্ত জীবনের রাস্তায় দুজনকে এক থাকতে হয়। আর এক্ষেত্রে একান্নবর্তী পরিবারের গুরুত্ব তুলে ধরে তারা বলছেন, দাম্পত্য জীবনে যে কোনো কলহ দুজনকেই মিটাতে হয়, তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তা সহজ করতে ভূমিকা পালন করে থাকে।
এদিকে শহরের নিউক্লিয়ার পরিবারগুলো বলছে, ছোট পরিবারে ঝামেলা কম, চাকরি শেষে সবাইকে নিয়ে এত ভেবে পেরে ওঠা যায় না বলেই স্বামী-স্ত্রী সন্তানসহ থাকছেন তারা। এ ক্ষেত্রে বেশিরভাগই সন্তান পালনে সাহায্যকারীর ওপর নির্ভরশীল। এমনই একটি পরিবার মরিয়ম-ইকবালের। এই দম্পতি বলেন, জীবনে এগিয়ে যেতে হলে প্রযুক্তির বিকল্প নেই। তবে যতই ব্যস্ততা থাকুক পরিবারের জন্য সময় বের করেন তারা। কিন্তু নিজেদের শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তারাও একান্নবর্তী পরিবারের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
‘আমরা ছোটবেলায় একান্নবর্তী পরিবারে বড় হয়েছি, যেখানে মা-বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের একে অপরের মধ্য পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ দেখেছি। পরিবারে একে অপরের খেয়াল রাখত ও গুরুত্ব দিত। কিন্তু যান্ত্রিক জীবনে আমরা প্রযুক্তির ওপর খুব বেশি ঝুঁকে পড়ছি, যা আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক কেড়ে নিচ্ছে’, বলেন মরিয়ম।
শেরপুরের সাবিহার ২৪ বছরের সংসার ভেঙে যায় এক ডেটিং অ্যাপের কারণে। তিনি জানান, স্বামী ডেটিং অ্যাপে এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাদের সন্তান থাকলেও সংসার সন্তানসহ ভেঙে যায় তাসের ঘরের মতো। ঘটনার পর মানসিক ট্রমা থেকে বের হতে পারছেন না এই নারী।
সন্তানের এমন জীবন চাইনি
৩০ বছর বয়সী এমি জান্নাত, পেশায় সাংবাদিক। সিঙ্গেল মাদার হিসেবে গত দুই বছর ধরে নিজের জীবন চালাচ্ছেন। এক কন্যা সন্তানসহ পাঁচ বছরের সংসার কেন ছেড়ে এলেন— এমন প্রশ্নে এমি জানান, মানসিকভাবে বনিবনা না হওয়ার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন তিনি।
বিচ্ছেদের মতো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পরিবারের কারও সঙ্গে কিংবা কোনো সাইকোলজিস্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন কি না, জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। তিনি জানান, কিছুদিন সময় নিয়ে সব ঠিক করার চেষ্টা কয়েকবারই করেছিলেন তারা। তবে শেষ পর্যন্ত কিছুই ঠিক হয়নি।
সব ঠিক না হওয়ায় দুজন চলে যান দুই পথে। পাল্টে যায় জীবনের সমীকরণ। এমি বলছিলেন, সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো আফসোস নেই। তবে সন্তানের এমন জীবন চাইনি। কিন্তু মা-বাবাকে একসঙ্গে সহিংস অবস্থায় দেখার চেয়ে এটিই ভালো।
দায়িত্বহীনতার কারণে বিচ্ছেদ
পঞ্চাশোর্ধ্ব তনিমার বিচ্ছেদ হয় ২৪ বছর আগে। দুই সন্তানের এই জননীর জীবনপথে চলাটা সহজ ছিল না। সন্তানের মা ও বাবা দুজনের ভূমিকাই তাকে পালন করতে হয়েছে। স্বামীর সঙ্গে মাত্র পাঁচ বছরের সংসার ছিল তার। এরপরই দুই সন্তান নিয়ে সংসারের ইতি টানতে হয় তাকে।
তনিমার কথায়, স্বামীর মাদকাসক্তি ও সংসারের প্রতি দায়িত্বহীনতাই ছিল তাদের বিচ্ছেদের মূল কারণ। বিচ্ছেদের ২৪ বছর পেরিয়েছে। সংসার জীবনের ‘দুঃসহ যন্ত্রণা’ তাড়া করে বেড়াতো তাকে। তাইতো দ্বিতীয়বার আর সংসার নিয়ে ভাবতে সাহস পাননি তিনি।
‘এখনও সেসব দুঃসহ স্মৃতি মনে পড়লে আঁতকে উঠি। এমন অনেক সময় গেছে, যখন স্বামীর হাতেই আমাকে ম্যারিটাল রেপের (বৈবাহিক ধর্ষণ) শিকার হতে হয়েছে। যখন আর পেরে উঠছিলাম না, তখন সব ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে চলে আসি’, কথাগুলো বলতে বলতে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন তিনি।
বিচ্ছেদের পথে নারী-পুরুষ উভয়ই
একটি আইটি ফার্মে চাকরি করা জহিরের (ছদ্মনাম) বিয়েবিচ্ছেদ হয় গত বছরই। তিনি বলেন, স্ত্রীর বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই ভেঙে যায় আমার চার বছরের সংসার। আমার তিন বছরের একটি সন্তান আছে। আমার মা তাকে দেখভাল করছেন।
একই ঘটনা ৩৫ বছর বয়সী নাঈমের ক্ষেত্রেও। স্ত্রীর বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
‘আমরা দু’জনই চাকরি করতাম। একটা সময় ওর মধ্য পরিবর্তন দেখতে পাই। ফোনে ও বেশি সময় দিতো। পরে জানতে পারি, ফেসবুকে তার এক ব্যাচমেটের সঙ্গে সম্পর্ক (প্রেম) হয়েছে। ওই লোকেরও স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। প্রথমে আমার স্ত্রীকে বুঝিয়েছিলাম। পরে আর পেরে উঠিনি। তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিই,’ বলেন নাঈম।
গ্রামে বিচ্ছেদ বাড়াচ্ছে বাল্যবিয়ে
বিবিএসের ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক ২০২৩-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি ১০ হাজারে গ্রামে ১১টি এবং শহরে ৯টি তালাকের ঘটনা ঘটছে। দেশে ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ের হার অনেকটাই বেড়েছে। সমাজবিজ্ঞানীরা গ্রামে বিয়েবিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ার পেছনের অন্যতম বড় কারণ হিসেবে বাল্যবিয়ে ও কৌশলে যৌতুক আদায়ের বিষয়টিকে দেখছেন।
এই গল্পটা খুলনার তাসলিমার। মাত্র ১৪ বয়সে বিয়ে হয় তার। দারিদ্র্যের কারণেই পরিবার তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। তবে দুই বছর পরই বিচ্ছেদ হয়ে যায়। স্বামীর যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় ২০১৮ সালে এক সন্তানসহ তার সংসার ভাঙে।
তিনি এখন ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করছেন। বিচ্ছেদের কারণ জানতে চাইলে এক নিশ্বাসে বলেন, ‘গরিবি আমাগো পিছন ছাড়ল না, দুইটা ভাতের আশায় আব্বা বিয়া দিছিল। কিন্তু কপালে জুটত ওই বেডার মাইর। বাপে টুকটাক তো দিতই। কিন্তু শেষে টমটম কেনার টাকা দিতে পারেনাই বইলা ছাইড়া দিসে। ’
হাওয়াই মিঠাই সংসার
‘শহরে গেল টেকা রোজগার করতে, পরে হুনি হেনে এক গার্মেন্টের ছেরিরে বিয়া করছে। ওই ছেরিরও বাড়িতে জামাই-পোলা আছে। আমার সুন্দর সংসারটা হওয়া মিডাইয়ের মতো মিলাইয়া গেল। ’ কথাগুলো বলছিলেন পাবনার ফাতেমা। ২ বছর আগে দুই সন্তানসহ তার স্বামী তাকে কাজী অফিসের মাধ্যমে তালাক দেন। এরপর সন্তানদের নিজের মায়ের কাছে রেখে তিনি এখন ঢাকার কুড়িল এলাকায় একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন।
প্রযুক্তি কমাচ্ছে সম্পর্কের গুরুত্ব
প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে গতিশীল করছে। তবে এর নেতিবাচক ব্যবহার এড়াতে পারছে না মানুষ। প্রযুক্তি পারস্পরিক দূরত্ব বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা।
‘প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবারের বাইরে সবারই ভিন্ন ভিন্ন জগৎ তৈরি হচ্ছে। একটা সময় ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে। এতে পরিবারের বন্ধন ছিন্ন করতেও মানুষ দ্বিধা করছে না। আর এর বলি হচ্ছে শিশুর সুন্দর ভবিষ্যৎ’, বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ নাছির।
তিনি আরও বলেন, মেয়েরা এখন শিক্ষার দিক দিয়ে অনেক এগিয়েছে, যেটি তাকে স্বনির্ভর করছে। এখন আর নারীরা নীরবে সংসারে নির্যাতন সহ্য করে না। তাই নারীদের পক্ষ থেকে তালাকের সংখ্যাও দিনকে দিন বাড়ছে।
বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে বিচ্ছেদ ঘটে— উল্লেখ করে সমাজবিজ্ঞানী খায়রুল চৌধুরী বলেন, আমাদের ভাবতে হবে কেন এটি ব্যাধির মতো ছড়াচ্ছে। এর মূল কারণ হিসেবে আমি বলব, নিজ পরিবারকে সময় না দিয়ে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়া, বিভিন্ন অ্যাপে বন্ধু তৈরি করা আর সেখানে ডুবে যাওয়া। এমনকি পেটের দায়ে যারা পরিবার রেখে শহরমুখী হচ্ছে, শহরে এসে তারাও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছেন। এতে করে গ্রামে রেখে আসা পরিবারে সঙ্গে বিচ্ছেদ দীর্ঘ হচ্ছে।
‘এই ব্যাধি কমাতে হলে পরিবারকে নিয়ে ভাবতে হবে, সময় দিতে হবে,’ বলেন এই সমাজবিজ্ঞানী।
তিনি বলেন, ‘সামাজিক শৃঙ্খলাবোধ নিজের মধ্যে তৈরি করতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে, প্রযুক্তিতে গতিশীল হতে গিয়ে আমরা যেন সমাজকে ভেঙে না ফেলি। ’
বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে তাড়াহুড়ো নয়
বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাড়াহুড়ো না করার পরামর্শ মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের। মনোশিক্ষাবিদ ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম এ মোহিত কামাল বলেন, দাম্পত্য কলহ দিনকে দিন বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে দম্পতিদের উচিত কাপল কাউন্সিলিং নেওয়া, নিজেদের সমস্যাগুলো মানসিক বিষেশজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ঠিক করে নেওয়া। তবে এই প্র্যাকটিসটা (চর্চা) বাংলাদেশে একদমই নেই। কলহ থেকে দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর কারণেই বিচ্ছেদের ঘটনা বেশি হচ্ছে।
বিচ্ছেদ পরবর্তী চিত্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বিচ্ছেদের পর যে মানসিক ট্রমা তৈরি হয়, সেটা থেকে বের হতে অনেকের দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এটি অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে ওই ব্যক্তি (নারী বা পুরুষ) মানসিকভাবে কতটা দৃঢ় তার ওপর। যা হওয়ার, তা হয়ে গেছে— ভেবে জীবনের নতুন অধ্যায় সাহস নিয়ে শুরু করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২৫
পিএ/এজে