ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১ জিলকদ ১৪৪৬

বাংলানিউজ স্পেশাল

অর্থনীতিতে নীরব বিপ্লব

১০ লাখ ফ্রিল্যান্সারের আয় ১২ হাজার কোটি টাকা 

  ইসমাইল হোসেন ও জাফর আহমদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:১০, এপ্রিল ২৯, ২০২৫
১০ লাখ ফ্রিল্যান্সারের আয় ১২ হাজার কোটি টাকা  প্রতীকী ছবি

ঢাকা: নিজের আগ্রহে ২০২১ সালে ফ্রিল্যান্সিংয়ে যুক্ত হন রনি। দিনে দিনে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজে দক্ষ হয়ে ওঠা রনি এখন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করেন।

এখন প্রতি মাসে তার আয় গড়ে প্রায় ৫০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা। এই আয় দিয়ে তিনি পরিবারসহ নিজের খরচ চালান।
 
রনির মতো হাজারো তরুণ ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে হাজার কোটি টাকা দেশে আনছেন। বাড়ি-গাড়ি কিনে নিজেরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন, অন্যদেরও কর্মসংস্থান তৈরি করছেন। গত এক দশকে বেকারত্বের অভিশাপ ঘুচিয়ে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করছেন তরুণ-তরুণীরা। এভাবেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থনীতিতে ঘটছে এক নীরব বিপ্লব।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ফ্রিলান্সিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে বছরে প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার আসছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ছয় হাজার ১৫০ কোটি টাকা।
 
ফ্রিল্যান্সিং সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে দেশে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ মানুষ এ খাতে যুক্ত আছেন এবং তারা বছরে এক বিলিয়ন ডলার আয় করছেন। তবে এখনো কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। এসব সমস্যার সমাধান করা গেলে ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশের জন্য বিশাল সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠবে।
 
দেশের ফ্রিল্যান্সারদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ড. তানজীবা রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্বে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের মার্কেটের আয়তন বর্তমানে ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। ফ্রিল্যান্সারদের মোট ২৫৩টি মার্কেট প্লেস আছে। আরও কিছু কাজ ব্যক্তিগত পর্যায়ে করা হয়ে থাকে।
 
তিনি বলেন, দেশের ফ্রিল্যান্সারদের নিবন্ধনের প্ল্যাটফর্ম আপ-ওয়ার্কে নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখ। আর নিবন্ধনের বাইরে থাকাদের মিলিয়ে দেশে মোট ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা সাড়ে ১০ লাখ। দেশে অনেক ফ্রিল্যান্সার কাজ করেন এবং তাদের আয়ের পরিমাণও অনেক বড়। বিভিন্ন চ্যানেলে প্রতিবছর আয় আসে ১ বিলিয়ন ডলারের মতো।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলছে, ব্যাংকিং চ্যানেলে ফ্রিল্যান্সিং থেকে বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার আসছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ছয় হাজার ১৫০ কোটি টাকা।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয় ৪৯ কোটি ৪৩ লাখ ১৯ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা পাঁচ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তার আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে এসেছিল ৪৬ কোটি সাত লাখ ৭৮ হাজার কোটি ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ৫৮২ কোটি ১৯ হাজার টাকা। তার আগের বছরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে কিছুটা বেশি বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসে। সে হিসেবে ২০২১-২২ অর্থবছরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে এসেছিল ৫০ হাজার ৪ লাখ ৬ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা চার হাজার ৩২৩ কোটি টাকা।
 
বছরজুড়ে প্রায় নির্ঘুম কাজ করে লাখ লাখ ডলার দেশে নিয়ে আসা রনিদের গল্পটা কষ্টের। রনি জানান, প্রতিনিয়ত হাজার হাজার প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নতুন নতুন বায়ারদের কাছ থেকে কাজ আনতে হয়। এতে প্রয়োজন ইংরেজিতে দক্ষ হওয়া। পাশাপাশি কাজের মান উন্নত করা। এভাবে প্রতিযোগিতায় যারা টিকে থাকে তারাই সফল হতে পারে।
 
রনি আরও জানান, ফ্রিল্যান্সিং এমন ধরনের কাজ, যেটি শেষ হলে তারা জব লেস হয়ে পড়েন। অনেক সময় তাদের অ্যাকাউন্ট ডাউন হয়ে যায়। এতে ফ্রিল্যান্সাররা হতাশ হয়ে পড়েন। তাই টিকে থাকতে হলে প্রাকটিসের মধ্যে থাকতে হয়। পাশাপাশি ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হয়। ইংরেজিতেও দক্ষ হতে হবে। ক্লায়েন্টের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার প্র্যাকটিসটা উন্নত হতে হবে।
 
অনেকে অধৈর্য হয়ে ঝরেও পড়েন। রনি বলেন, অনেক ফ্রিল্যান্সার আছেন, কাজ শেখার পর আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারেন না। কাজ শেখা হলেই ডলার ইনকাম করতে চায়। এটাই তাদের ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
 
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের কাজের ধরণ নিয়ে তানজীবা রহমান বলেন, আমাদের দেশে বর্তমানে ৭২ শতাংশ কাজ করেন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ওপর। এরপর ক্যাটাগরিভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং, যেমন: মেডিকেল কনটেন্ট রাইটার, অ্যাকাউন্টিং বা বিষয়ভিত্তিক কাজ হয়। সামনের দিনগুলোয় বিষয়ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট ভালো হবে এবং আমরা ভালো করতে পারবো। কারণ, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রতি ঘণ্টা পেমেন্ট খুব কম এবং প্রতিযোগী অনেক বেশি।
 
চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি বলেন, আপনার বস আপনার সামনে নেই, শত-সহস্র মাইল দূরে থাকা বসকে কনভিন্স করে কাজ নেওয়া সহজ না। গত কয়েক বছর আমরা দেখেছি, কেবল মাত্র গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া কোনো প্রশিক্ষণ হয়নি। আর বাকি যারা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশন আছে তারা অন্য কোনো কাজ করেনি।
 
ফ্রিল্যান্সারদের টাকা দেশে নিয়ে আসা নিয়ে জটিলতা দিন দিন নিরসন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতদিন ব্যাংকগুলো এডুকেটেড না হওয়ার কারণে ফ্রিল্যান্সাররা হয়রানির শিকার হতো। এই টাকা কীভাবে নিয়েছেন, কেন নিয়েছেন, চুক্তিপত্রগুলো বুঝতে পারতো না এবং কাজের ডকুমেন্টগুলো যাচাই-বাছাই করার ব্যবস্থা ছিল না। যে কারণে অনেকেই আসলে তার আয়ের কেবলমাত্র ৩০ শতাংশ টাকা বাংলাদেশে নিয়ে আসতো। সেটা আপাতত কিছুটা বেড়েছে।
 
তানজীবা রহমান আরও বলেন, মাল্টি ন্যাশনাল ব্যাংকগুলো এগিয়ে এলে ফ্রিল্যান্সাররা লিগ্যাল চ্যানেলে ডলার নিয়ে আসবে। পেমেন্ট গেটওয়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকগুলোর সার্ভিসেরও দরকার আছে। এখন ব্যাংকগুলো এডুকেটেড হচ্ছে, ফ্রিল্যান্সাররা কী ধরণের আয় করে, এসব এখন বুঝতে পারছে। বর্তমানে ১৬টি ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে, যার মধ্যে নয়টি সেবা চালু করেছে।
 
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অন্যান্য ব্যাংক ‘ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি ফর দ্য ফ্রিল্যান্সার’ প্রোগ্রাম চালু করতে যাচ্ছে। ব্যাংক যখন এগুলোয় অভ্যস্ত হয়ে যাবে তখন ফ্রিল্যান্সারদের আর ব্যাংকে যেতে হবে না। আশা করছি, লিগ্যাল চ্যানেলে ৭০ শতাংশ নিয়ে আসতে পারবে, বলেন তানজীবা।
 
আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয়ের টাকা দেশে সহজ করতে সম্প্রতি ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট চালু করেছে স্টার্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। ব্যাংকটির হেড অব ওয়েলথ অ্যান্ড রিটেইল ব্যাংকিং লুৎফুল হাবিব বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে আমরা তৃতীয় দেশ। আমাদের ৬৫ ভাগ মানুষের বয়স ৩৫ বছর বা তার নিচে। যাদের পক্ষে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে এটাচ হওয়া সহজ। এটা ভবিষ্যতের জন্য বিরাট খাত হতে পারে। যদি সরকারি-বেসরকারি সব সাপোর্ট দিতে পারি তাহলে ২০৩০ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন ডলারের একটা ব্যবসা হতে পারে। তাদের সাপোর্টর জন্য আমরা অ্যাকাউন্ট ওপেন করছি। অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে সব কাজ অনলাইনে করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সাররা। তাদের ডেভেলপ ও উৎসাহিত করার জন্য চার্জ ফ্রি করে দিয়েছি।
 
আউটসোর্সিংয়ে যারা পেশা হিসেবে নিতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রত্যেক সেক্টরে, প্রত্যেক প্রফেশনে একটা ফ্রিল্যান্সিং ভার্সন আছে— এটা সবাই জানেন না। এটার জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে আমি কাজ করছিলাম। যে, যে বিষয়ে পড়াশোনা করেছে সে বিষয়ে টেক ভার্সনগুলো জানবে। আপ-ওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সিংয়ে এক হাজার ২৩টি বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং হয়। যেগুলোর নলেজ আমাদের ফ্রিল্যান্সারদের কাছে আসেনি।
 
তিনি বলেন, আমরা (ফ্রিল্যান্সাররা) গ্লোবাল টেক ওয়ার্কার। বাংলাদেশে বসে কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে বিট করে কাজ পাচ্ছি। যেসব মেধাবী ওয়ারর্কার রয়েছে, তাদেরকে সম্মান দেওয়া উচিত। আমরা যখন শুরু করি, তখন থেকে একটা টার্গেট ছিল যে ফ্রিল্যান্সরদের সম্মানজনক পজিশনে নিয়ে আসা। বাবা-মা যেন বলতে পারে আমার ছেলে-মেয়ে ফ্রিল্যান্সার। আজকে আমি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, আমি ফ্রিল্যান্সার সেটা নিয়ে গর্ববোধ করি।
 
তিনি আরও বলেন, যারা ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য চিন্তা করছে কিন্তু সামাজিক দোটানায় ভয় পান তাদের জন্য এটা বড় সম্মানের। আজকে মাল্টি ন্যাশনাল ব্যাংকগুলো ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অ্যাকাউন্ট খোলার চিন্তা করলে এদেশ থেকে যারা কাজ করেন, তারা বিদেশে ব্র্যান্ড হয়ে উঠবে। আমরা সেই ব্র্যান্ড তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
 
তবে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার ট্রেন্ড ভালো। তবে অনেকেই বেরিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের অনেক সংখ্যার দরকার নেই। ৫০ হাজার দরকার, কিন্তু সেগুলো মাস্টার ফ্রিল্যান্সার হতে হবে। অদক্ষ ফ্রিল্যান্সাররা চলে যাচ্ছে। আজকে যে বিষয়ে কাজ করছি, কাল সেটা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত পড়াশোনা করতে হবে। প্রতিদিন পরিবর্তন হবে। এজন্য তাদের আপ-স্কেলিং করা, রিস্কিলিং করা দরকার।
 
ফ্রিল্যান্সাররা জানান, দেশে বর্তমানে পেপ্যালের সুবিধা না থাকায় কিছু প্ল্যাটফর্ম একচেটিয়া ব্যবসা করছে। তারা যখন খুশি বাড়তি চার্জ বসায়। এতে খরচ বেশি হয়। পেপ্যাল চালু হলে ফ্রিল্যান্সাররা উপকৃত হবেন।
 
পেমেন্টের জন্য বিকল্প মাধ্যম চালু করার উদ্যোগ
ফ্রিল্যান্সের উপার্জিত অর্থ দেশে আনার কোনো বাধা আছে কিনা বা এসব বাধা দূর করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় আরও বাড়ানো যায় কিনা— এ বিষয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র মো. আরিফুর রহমান খান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অনেক সময় দেখা যায় কোনো পণ্য রপ্তানি হলেও দেশে অর্থ আসে না। তবে, ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ দেশে আসা না— এমনটা বলা যায় না। ফ্রিল্যান্সের আয় যেটা দেশে আসে, সেটাই বৈধ। তারা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। তাদের পেমেন্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে কিনা, কোনো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে কিনা, তারা যাতে সহজে অর্থ আনতে পারে— সে ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে।
 
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করে এমন কয়েকটি পেমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে আমরা কাজ করছি। কীভাবে আরও সহজ-সাবলীলভাবে আয় দেশে আনা যায় সে চেষ্টাই আমরা করবো। বিদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সারদের আয় আনার ক্ষেত্রে যেসব প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে কাজ করবে বলে এগিয়ে এসেছে, আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি। শিগগির তাদের সঙ্গে জয়েন্টলি কাজ করবো, যাতে ফ্রিল্যান্সাদের আর্নিং সহজে দেশে আনা যায়।

পেপ্যাল চালু না হওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র আরিফুর রহমান খান বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের অর্থ যাতে সহজে দেশে আনা যায়, সে জন্য আমরা একটি মাধ্যম ডেভলোপ করতে যাচ্ছি। বিদেশে আমাদের অনেকে কাজ করে, তাদের সঙ্গে জয়েন্টলি কাজ করার জন্য অনেকটা এগিয়ে গেছি।

এমআইএইচ/জেডএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।