ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে দিয়েছে সরকার। আপাতত এ পদে নিয়োগ হচ্ছে না।
সোমবার (১৩ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ডেপুটি গর্ভনর নাজনীন সুলতানা ও আবুল কাশেমকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শূন্যস্থান পূরণে পিকেএসএফ চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমানকে প্রধান করে চলতি বছরের ১৭ মার্চ একটি সার্চ কমিটি করে সরকার।
কমিটিতে আরও ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গর্ভনর ফজলে কবির, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিআইডিএস) মহাপরিচালক কে. এ. এস. মুর্শিদ, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব গোকুল চাঁদ দাস।
কমিটি মার্চ মাসের শেষের দিকে ডেপুটি গভর্নর পদে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেয়। এ পদে নিয়োগের জন্য প্রজ্ঞাপন জারির পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রায় ৬০টি আবেদন জমা পড়ে। এসব আবেদন থেকে বাছাই করে ২১ জনকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়।
সাক্ষাতকার শেষে এ পদের জন্য ৩ জনের নাম সুপারিশ করে ১৫ মে অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠায় সার্চ কমিটি। কমিটির পাওয়া নাম নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদেরকে নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
ডেপুটি গভর্নর নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরুর প্রায় ৩ মাস পর এ কমিটি বাতিল করা হলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার ছাড়পত্র না পাওয়ায় এই তিনজনকে নিয়োগ দিতে পারেনি সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৬
এসই/এটি