ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ব্যাংকিং

অবৈধ ভবনে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৬
অবৈধ ভবনে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়

ঢাকা: অনুনমোদিত ও অবৈধ ভবন সানমুনস্টার টাওয়ার থেকে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় সরিয়ে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে নির্মিত সানমুনস্টার টাওয়ারের ৩০ হাজার বর্গফুট আয়তনের ষষ্ঠ ফ্লোর ভাড়া নিয়ে বেসরকারি ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকও এই ভবনের দু’টি ফ্লোর ভাড়া নিয়েছিল। তবে ভবনটি অবৈধ ও অননুমোদিত জানার পর এখান থেকে চলে যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু সরানো হচ্ছে না মার্কেন্টাইল ব্যাংক। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ করা হলেও টনক নড়ছে না ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। আট কোটি টাকা অগ্রিম ও ৭৫ টাকা প্রতি বর্গফুট হিসেবে ফ্লোরটি ভাড়া নিয়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংক। এই ভবনে ব্যাংকটির গুরুত্বপূর্ণ দু’টি বিভাগ- ক্রেডিট ও আইটি ডিভিশন রয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ দেখভাল করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সানমুন স্টার টাওয়ার নির্মাণে আইন, বিধি, নীতিমালা- কোনোটাই মানা হয়নি। নেওয়া হয়নি সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থার অনুমোদন।

রাজধানীর দিলকুশায় সরকারি জমির ওপর নির্মাণ করা হয় ৩০ তলা ভবনটি। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই ভবনটির দখল নেয় সিটি করপোরেশন। এর পরপরই বাংলাদেশ ব্যাংক এই ভবন থেকে চলে গেলেও মার্কেন্টাইল ছাড়াও আর দু’টি ব্যাংক এখনও এই ভবনে রয়েছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে ব্যাংকগুলোর অর্থ।

কারণ, ভবনটির নির্মাতা ও ভুয়া মালিক মিজানুর রহমান বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তাই যেকোনো সময়ে সিটি করপোরেশন ভবন থেকে ব্যাংকগুলোকে উচ্ছেদ করে দিলে অগ্রিমের অর্থ ফেরত পাবে না ব্যাংকগুলো।

এই ভবনের বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবনটি নির্মাণে ঢাকা সিটি করপোরেশন ও রাজউকের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। বঙ্গভবনের কাছাকাছি হওয়ায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নেওয়ার প্রয়োজন ছিলো। সেটাও নেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) নীতিমালাও লঙ্ঘিত হয়েছে।

পুলিশের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিজানুর রহমান তার নির্মাণাধীন সানমুন স্টার ভবনের একটি ফ্লোর হেফাজতে ইসলামকে লাঠিসোটা রাখার জন্য ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। তিনি হেফাজতের ৩০ হাজার কর্মীকে ওই ফ্লোরে রেখে তাদের নাশতা করিয়েছেন।

এমন একটি ভবনে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থাকায় ব্যাংকটি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মসিহুর রহমান বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকের সম্পদ ও প্রশাসন বিভাগে যোগাযোগ করতে বলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৬
এসই/এসএনএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।