ঢাকা, বুধবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

রিজার্ভ চুরির কিছু অর্থ শিগগিরই ফেরত আসছে  

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৬
রিজার্ভ চুরির কিছু অর্থ শিগগিরই ফেরত আসছে  

ঢাকা: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া টাকা ফেরত আনতে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া পেরুতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে। তবে সহসাই চুরি হওয়া অর্থের কিছু অংশ ফেরত পাবে বাংলাদেশ, এমনটাই প্রত্যাশা সংসদীয় কমিটির।

 

সোমবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে সংসদ ভবনে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ প্রত্যাশা করা হয়। শওকত আলীর সভাপতিত্বে কমিটি সদস্য নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবং মুহিবুর রহমান মানিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের একটি রেমিট্যান্স কোম্পানি, তিনটি ক্যাসিনো এবং এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ফিলিপাইনের অ্যান্টিমানি লন্ডারিং সিকিউরিটি ইউনিটই বাংলাদেশ ব্যাংককে এ তথ্য দিয়েছে।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া টাকার ১৫.২৫ মিলিয়ন ডলার ফিলিপিন বংশোদ্ভূত চীনা ব্যবসায়ী কিম অংয়ের কাছে রক্ষিত ছিল। এ টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কয়েক ধাপ আইনি প্রক্রিয়া শেষেই এ টাকা বাংলাদেশে ফেরত আসবে বলে কমিটিকে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।  

ফিলিপাইনের অ্যান্টিমানি লন্ডারিং সিকিউরিটি সে দেশের আরসিবিসি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের ২১ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে আরও একধাপ এগিয়ে আসছে বলে মনে করে সংসদীয় কমিটি।  

খোয়া যাওয়া অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য ফিলিপাইনের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বলে সংসদীয় কমিটিতে জানানো হয়েছে।  

বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কমিটি সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন পড়ে শোনান এ সদস্য।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে খোয়া যাওয়া অর্থ ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। আশা করি খুব শিগগিরই কিছু টাকা ফেরত আসবে। আর বাকি টাকা আনতে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিজার্ভ থেকে খোয়া যায় ৭০টি চেক হ্যাকাররা জালিয়াতির মাধ্যমে লুটে নেয়। এর মধ্যে ৫টি চেক তারা ভাঙাতে পেরেছিল। খোয়া যাওয়া এ ৫ চেকের মধ্যে দুই চেকের টাকা শিগগিরই পাওয়া যাচ্ছে।  
 
আগামীতে যেন আর কোনো হ্যাকার চেক জালিয়াতি করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে সর্তক থাকার জন্য বলা হয়েছে।  

এদিকে কমিটির বৈঠকে ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে আনার জন্য জোর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।  
কমিটি সূত্রে জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে খোয়া যাওয়া সমুদয় অর্থ উদ্ধার করে ফিলিপাইন থেকে দেশে ফেরত আনার জন্য ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা চলমান রয়েছে।  

বৈঠকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠন বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরসহ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৬
এসএম/জেডএস                                                                

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।