এতে বলা হয়, এখন থেকে দিনে দুইবার এবং সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা জমা (ক্যাশইন) এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা ক্যাশআউট (উত্তোলন) করা যাবে। এর আগে দিনে ২৫ হাজার টাকা করে পাঁচবার টাকা জমা (ক্যাশইন) এবং তিন বারে ২৫ হাজার টাকা করে ক্যাশআউট করা যেতো।
এছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারে একটি মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে একটিমাত্র একাউন্ট চালু রাখা যাবে।
দিনে সর্বোচ্চ দুইবার এবং মাসে সর্বোচ্চ ২০ বার ক্যাশইন করা যাবে। আগে দিনে পাঁচবার এবং মাসে ২০ বার ক্যাশইন করা যেতো। লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ছিলো ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে দেড় লাখ টাকা। এখন দিনে ১৫ হাজার এবং মাসে এক লাখ টাকা ক্যাশইন করা যাবে।
ক্যাশআউট দিনে তিনবার থেকে কমিয়ে দুইবার করা হয়েছে। তবে মাসিক ১০ বার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। দিনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা এবং মাসে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ক্যাশআউট করা যাবে। এর আগে দিনে ২৫ হাজার এবং মাসে দেড় লাখ টাকা ক্যাশআউট করা যেতো। এছাড়া টাকা ক্যাশইন করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ হাজার টাকার বেশি ক্যাশআউট করা যাবে না।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কোনো মোবাইল হিসাবে পাঁচ হাজার টাকার বেশি ক্যাশইন ও ক্যাশআউট করতে হলে গ্রাহককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে এবং এজেন্ট ওই পরিচয়পত্রের নম্বর রেজিস্ট্রার খাতায় লিখে রাখবেন। ক্যাশইন ও ক্যাশআউটের আলাদা রেজিস্ট্রার খাতায় গ্রাহকের স্বাক্ষর বা টিপসই রাখতে হবে। এই নির্দেশগুলো পালন না করলে এজেন্টশিপও বাতিল করতে হবে। এজন্য এজেন্টদের প্রতি নজরদারি বাড়াতে হবে।
একজন ব্যক্তি কোনো মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের (এমএফএস প্রোভাইডার) সঙ্গে একাধিক মোবাইল হিসাব চলমান রাখতে পারবেন না। কোনো গ্রাহকের একই জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড বা অন্য কোনো পরিচয়পত্রের বিপরীতে একাধিক মোবাইল হিসাব থাকলে ওই গ্রাহকের সঙ্গে আলোচনা করে তার বেছে নেওয়া যেকোনো একটি মোবাইল হিসাব চালু রেখে অন্য হিসাবগুলো বন্ধ করতে হবে।
কোনো ক্ষেত্রে গ্রাহকের সঙ্গে আলোচনা করে বন্ধ করা সম্ভব না হলে সর্বশেষ ব্যবহৃত অ্যাকাউন্টটি রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। বন্ধ করা অ্যাকাউন্টগুলোর সমুদয় অর্থ গ্রাহককে ফেরত দিতে হবে। এই নির্দেশ কার্যকর করে প্রতিমাসে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে এবং মাসিক মোট লেনদেন পরিমাণও জানাতে হবে।
সব মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের এসব নির্দেশনা কার্যকরে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস একটি দ্রুত বিকাশমান সেবা যা অতি অল্প সময়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশেষ করে নি¤œ আয়ের জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
কিন্তু কতিপয় অসাধু ব্যক্তি এ সেবাটির অপব্যবহার করছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর। এ কারণে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এর অপব্যবহার রোধকল্পে এবং এর সুশৃঙ্খল ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে নির্দেশনাগুলো পরিপালনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
এসই/জিপি/এইচএ