পরের দুদিন (শুক্রবার ও শনিবার) সাধারণ সরকারি ছুটি এবং রোববার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটানা তিনদিন ব্যাংকের সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
সোমবার (২৭ মার্চ) ব্যাংকের কার্যক্রম শুরুর পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গিয়ে এ দেখা যায়, মহাব্যবস্থাপকের পুরো কক্ষই পুড়ে গেছে।
বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ ঘুরে দেখা গেছে, পুরো তলা সর্বত্র ছাই ছড়িয়ে কালো হয়ে আছে। আগুন নেভাবে ব্যবহৃত পানি ও ছাইয়ের মিশেলে স্যাঁতসেঁতে হয়ে রয়েছে বিভাগের মেঝে। বিভাগের এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পুড়ে যাওয়া কাগজপত্র।
আগুনের উৎস এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে সকাল থেকেই ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটির লোকজন কাজ শুরু করে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ওই বিভাগের কর্মকর্তা ছাড়া ওই বিভাগটিতে কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
সকাল থেকে ধোয়া-মোছার মাধ্যমে ওই তলায় কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সুতরাং কোনো কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় ধোয়া-মোছার কাজও শুরু হয়নি।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত ওই সভায় লিখিত আলোচ্যসূচিতে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে কোনো এজেন্ডা ছিল না। তবে বিবিধ অংশে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
সভায় সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম (এসএমটি) ডাকা হয়। একইসঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাব্যবস্থাপককেও ডাকা হয় ওই সভায়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ফায়ার সার্ভিস গঠিত উভয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
এসই/এমজেএফ