মঙ্গলবার (০৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ডিজিটাল আর্থিক সেবার ভূমিকা শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।
জাতিসংঘ ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (ইউএনসিডিএফ) এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।
ইউনুসুর রহমান বলেন, দেশে বর্তমানে কার্যরত ব্যাংকের ১০ হাজার শাখা রয়েছে। এসব শাখায় ১৬ কোটি মানুষের ১০ কোটি বয়স্ক মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশের হিসাব রয়েছ। বাকি ৬০ শতাংশ মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে আরও ১৫ হাজার শাখা স্থাপন করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বর্তমানে এই পরিমাণ শাখা দিয়ে ১০ কোটি মানুষের সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই বিকল্প ভাবতে হবে। আর বিকল্প উপায় হচ্ছে ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (ডিএফএস)। এ জন্য মোবাইল ফোন আরও সহজলভ্য করতে হবে। দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে সেবার দূরত্ব কমাতে হবে। এতে আর্থিক সেবাবঞ্চিত মানুষকে সেবা দেওয়া যাবে।
ব্যাংকিং সচিব বলেন, আজেকের গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রদানের জন্য বিনিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ, সংযোগ ও প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বৃদ্ধি করার বিষয়টিতে সবাই গুরুত্ব দিয়েছেন।
আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোফাইন্যান্সের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফা কে মুজেরি। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ডিজিটাল আর্থিক সেবার ভূমিকা শীর্ষক প্রবন্ধে বলা হয়, এমএফএস সেবার বাজারে প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে। সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিতে এ খাতে সব পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) মোবাইল অপারেটর ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
জাতিসংঘ ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের এশিয়া অঞ্চলের কো-অর্ডিনেটর ফয়সাল হুসেইনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর এস কে সুর চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিফট ইন বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়ক আশরাফুল আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৭/১৭১৩ ঘণ্টা
এসই/এমজেএফ