রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে গ্রামীণ ব্যাংকের ২০১৬ সালের লভ্যাংশের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অতি সত্বর গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন হবে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রতন কুমার নাগ ২০১৬ সালের লভ্যাংশের ৬ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ডামি চেক অর্থমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এসময় ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক বাবুল সাহা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা গ্রাহকরা এখন গ্রুপভিত্তিক ঋণ নিয়ে অনেক প্রফিট করছেন। এটি বাংলাদেশের সামাজিক পরিবতনের বড় নির্দেশক। যেখানে অধিকাংশ মানুষ গরিব ছিল, এখন মাত্র ২৫ শতাংশ। ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তন হয়েছে।
সাংবাদিকদের করা আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুহিত আরও বলেন, দারিদ্র বাড়ছে না কমছে তা বোঝার জন্য অন্তত বছরখানেক দেখা দরকার। বছর শেষে কি হবে আমি জানি না।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের অনেক অসুবিধা হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম দামটা কিছু বাড়ুক। কারণ কৃষকের ধান বা চাল বিক্রির দাম (আগে) অনেক কম ছিল। দাম বাড়ায় সেদিক থেকে (কৃষকদের) ভালোই হয়েছে। চালের দাম যখন ৫০ টাকার উপরে উঠে গেল, তখন কিছু লোকের তো অসুবিধা হয়েছেই। তাদের যা কিছু সঞ্চয় ছিল হয়তো খরচ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
এসই/জেএম