বিদ্যমান নীতিমালা উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি তৈরি করা এক নীতিমালার (খসড়া) আওতায় রোববার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রার্থীদের এ সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
এ সময় প্রার্থীদের মোবাইল ফাইন্যান্সিং সার্ভিসেস, ডিজিটাল ব্যাংকিং, প্রকল্প ঋণ ব্যবস্থাপনা, খেলাপি ঋণ ব্যবস্থাপনা ও করপোরেট গভর্ন্যান্স- এই পাঁচটি বিষয়ের যে কোনো একটির ওপর উপস্থাপনা দিতে বলা হয়।
তখন প্রত্যেক প্রার্থীই ১০ নম্বরের জন্য ব্যাংকিং খাতের নির্দিষ্ট এ বিষয়গুলোর মধ্য থেকে একটির ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।
এছাড়া বাকি ৯০ নম্বর দেওয়া হবে প্রার্থীদের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরির অভিজ্ঞতা, ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, নেতৃত্বের গুণাবলী, পেশাগত ডিগ্রি, চাকরিজীবনে বহুমুখী অভিজ্ঞতা, পেশাগত দক্ষতা, দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণ, পেশাগত প্রকাশনা, অর্জিত প্রণোদনা এবং পুরস্কার, ইনোভেশন ও কমিউনিকেশন দক্ষতায়।
যেসব প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে তারা হলেন- রূপালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. কাইসুল হক ও অরুন কান্তি পাল, কর্মসংস্থান ব্যাংকের মো. আবদুল মান্নান, সোনালী ব্যাংকের মো. মতিউর রহমান, মো. শামীমুল হক ও নিজাম উদ্দিন আহাম্মদ চৌধুরী, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মো. কামাল হোসেন গাজী, মো. ইকবাল হোসেন, দীপিকা ভট্টাচার্য্য, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শাহজাহান ও মো. রিফাত হাসান এবং বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের (বিএইচবিএফসি) মো. জাহিদুল হক।
আগামী বুধবার (১০ জুলাই) দ্বিতীয় ধাপে আরও ১৪ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) থেকে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে নীতিমালা জারি করা হয়।
তবে তা উপেক্ষা করে চলতি বছরের জুন মাসে তৈরি করা খসড়া নীতিমালার আওতায় এসব প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৯
এসই/এসএ