বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যূত করা হলে তিন কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তাকে অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, জাল-জালিয়াতি, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হলে তাদের তথ্য (নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, স্থায়ী ঠিকানা, চূড়ান্তভাবে বরখাস্তের তারিখ ও কারণ) বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত কর্মকর্তার মাধ্যমে কর্পোরেট মেমোরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএমএস) সফটওয়্যারের মাধ্যমে এন্ট্রি দিতে হবে। এছাড়া চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করার তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্যের এন্ট্রি দিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পক্ষে ডকুমেন্টসের কপি বাংলাদেশ ব্যাংকের সচিব বিভাগে পাঠাতে হবে।
আদালত বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো কর্মকর্তার শাস্তি শিথিল বা মওকুফ করা হলে তার তথ্য মুছে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টসের কপিসহ সচিব বিভাগকে আবারও তিন কার্যদিবসের মধ্যে অনুরোধ জানাতে হবে, বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
এছাড়া ইতোপূর্বে সিএমএমএস-এ এন্ট্রি করা তথ্য থেকে অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, জাল-জালিয়াতি, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত কর্মকর্তাদের তথ্য ছাড়া অন্যা তথ্য মুছে ফেলার জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করে পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সচিব বিভাগে পাঠানোর কথাও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়। ব্যাংকিং সেক্টরে পূর্ব-অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তা নিয়োগ প্রদানের আগেও সিএমএমএস থেকে আবশ্যিকভাবে সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর দিক্নির্দেশনায়, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সামগ্রিক উদ্যোগের সহায়ক কৌশল হিসেবে ২০১২ সালে ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ প্রণয়ন করা হয়। ব্যাংকিং সেক্টরে কৌশলপত্রটি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককর্তৃক প্রস্তুত সফটওয়্যার সিএমএমএস-এ স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
এসই/এইচজে