ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

‘জিয়ার মাজার উচ্ছেদের চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে’

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৬
‘জিয়ার মাজার উচ্ছেদের চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে’

ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার উচ্ছেদের চক্রান্ত প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন।

 

তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার মাজারটি আজ কোটি কোটি জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে আছে। এ মাজার উচ্ছেদের চক্রান্ত দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। মাজার সরানোর দুঃসাহস দেখালে পরিণতি ভালো হবে না। জনগণ তাদের সব অপচেষ্টাকে জীবন দিয়ে প্রতিহত করবে। জাতীয়তাবাদী শক্তি শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও শহীদ জিয়ার মাজার সরানোর অশুভ পরিকল্পনা প্রতিরোধ করবে।

রিজভী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম এ ষড়যন্ত্র শুরু করেন। সে সময় তিনি জিয়া উদ্যানের নাম পরিবর্তন ও ক্রিসেন্ট লেকের ওপর থেকে মাজারে যাওয়ার বেইলি ব্রিজটিও সরিয়ে দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ১৭ জুন একনেক’র সভায় জিয়াউর রহমানের মাজার অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা। এ অবৈধ সরকার সম্পূর্ণ ঈর্ষান্বিত হয়ে মহান স্বাধীনতার ঘোষকের মাজার সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছে।

জিয়াউর রহমানের মাজারটি সংসদ ভবন এলাকা থেকে অনেক দূরে অবস্থিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাজারের কারণে সংসদ
কার্যক্রমের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় জনবিচ্ছিন্ন এ সরকার মাজারটি অন্যত্র সরানোর অপচেষ্টা করছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, একটি অবৈধ ও গণবিচ্ছিন্ন
সরকার কখনোই সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারে না। ক্ষমতাবিলাস, দুর্নীতি, সন্ত্রাস আর রক্তপাতের লাইসেন্স নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে বলেই তারা আজ চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যাংক কেলেংকারি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ হ্যাক, তনু হত্যা, বাঁশখালীতে পুলিশ কর্তৃক নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড, ইউপি নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নজীরবিহীন খুনোখুনি ও ভোট ডাকাতি আড়াল করার জন্য আবারও জিয়ার মাজার উচ্ছেদের ইস্যু সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা তার পিতার পথ অনুসরণ করে গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছেন। আর শহীদ জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিহিংসায় আচ্ছন্ন হয়ে আছেন। জিয়া পরিবার তথা জাতীয়তাবাদী শক্তির ওপর রক্তাক্ত আক্রমণ চালিয়েও তার প্রতিহিংসার আগুন প্রশমিত হচ্ছে না। এখন তিনি টার্গেট করেছেন শহীদ জিয়ার মাজারকে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার, মোস্তাফিজুর রহমান

বাবুল, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৬
এমএম/কেআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।