ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীকে নিরাপদে আদালতে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অনুরোধ জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সবগুলো মামলায় জামিনে থাকা সত্ত্বেও রিজভীর বিরুদ্ধে যে মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, সে মামলার এফআইআরে তার নাম ছিল না। পরে চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি তিনিও জানতেন না, তার আইনজীবীও জানতেন না’।
রাজনৈতিক হয়রানির জন্যই রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বিস্ময়করভাবে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সার্জশিট আমলে নিয়ে রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ এসে হাজির। নেতাকর্মীদের কার্যালয়ে ঢোকা সীমিত করে দেওয়া হয়’।
তিনি বলেন, ‘সব মামলার ক্ষেত্রেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর আদালতে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু রিজভীর ক্ষেত্রে সে সুযোগ দেওয়া হয়নি। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর পরই তার পেছনে পুলিশ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ২৯ জুলাই গুলশান কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করতে গেলে কার্যালয়ের চারপাশে পুলিশ অবস্থান নেয়’।
বিএনপির স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার জন্যই রিজভীকে হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘দলের মুখপাত্র হিসেবে রিজভী প্রতিদিন বিএনপির কথাগুলো মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেন। সেটি বন্ধ করার জন্যই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে হয়রানি হচ্ছে। আমরা সরকারকে অনুরোধ করবো, রিজভীকে নিরাপদে কোর্টে আত্মসমর্পণের সুযোগ দিন’।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৬
এজেড/এসজে/এমএ/এএসআর
** ৩ মামলায় ফখরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ৯ নভেম্বর