ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ০৮ সেপ্টেম্বর। ওইদিন এ মামলা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ দাখিল করতে হবে।
বুধবার (১০ আগস্ট) খালেদার উপস্থিতিতে এ দিন ধার্য করেন ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ-২ হোসনে আরা বেগমের আদালত। মামলার আসামি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হাসান মোল্লার আদালত খালেদার বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে দায়ের করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা এবং দারুস সালাম থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতার আরও পাঁচ মামলা আমলে গ্রহণ করেন। আগেই গৃহীত হয়েছিল দারুস সালাম থানার আরও তিন মামলা। ফলে নাশকতার আট মামলাই আমলে গৃহীত হলো।
২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা এবং দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা ৬২ (১) ১৫, ৫ (২) ১৫, ৬ (২) ১৫, ৮ (২)১৫, ১২(২)১৫, ২৯(২)১৫, ৩১(২)১৫ ও ৩(৩)১৫ নম্বরের মামলাগুলোতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন খালেদা।
শুনানি শেষে খালেদা জিয়াকে পূর্বশর্তে জামিন দিয়ে আগামী ১০ অক্টোবর নয় মামলায়ই অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
ওই ১০ মামলাসহ রাষ্ট্রদ্রোহিতা, নাশকতা ও দুর্নীতির মোট ১২ মামলায় পর্যায়ক্রমে ঢাকার বিভিন্ন নিম্ন আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন খালেদা।
বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পৌঁছান তিনি। এরপরই ঢোকেন এজলাসকক্ষে। এরপর যান বিশেষ জজ-৯ আদালত।
১০ মামলার শুনানি শেষ হলে খালেদা জিয়া হাজিরা দিয়েছেন বিশেষ জজ-৯ আমিরুল ইসলাম মোল্লার আদালতে। সেখানে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি চলছে।
সবশেষে দারুল সালাম থানার নাশকতার ৪(৩)১৫ নম্বর মামলায় ঢাকার সিএমএম আদালতে জামিন চাওয়া হবে। সেটিতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ হলে বাসায় ফিরবেন বিএনপি প্রধান।
এর আগেই ১২ মামলায়ই বিভিন্ন আদালতে খালেদা জিয়ার হাজিরা দাখিল করেন তার আইনজীবীরা।
এর আগে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের উদ্দেশে রওয়ানা দেন বিএনপি প্রধান।
এদিকে খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার জনসন রোড, ভিক্টোরিয়া পার্কসহ পুরো আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৬
এমআই/এএসআর