ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে নির্বাচন চায় বিএনপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬
নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে নির্বাচন চায় বিএনপি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন চায় বিএনপি। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

‘গৃহপালিত নির্বাচন কমিশনের’ অধীনে সরকারের সুবিধামতো সাজানো নির্বাচনে বিশ্বাস করেন না তারা।
 
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির নেতারা এসব কথা বলেন।
 
বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নবম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর বিএনপি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকারের পরিবর্তন চাই আমরা। সেই জন্য আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে।  
 
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গৃহপালিত নির্বাচন কমিশনের’ অধীনে আপনাদের সুবিধা মতো সাজানো নির্বচানে আমরা বিশ্বাস করি না। আপনাদের সরকার ও আপনাদের লোক দিয়ে একটা সাজানো নির্বাচন করবেন, তা হবে না, জনগণ তা মেনে নেবে না।
 
১/১১ প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ফখরুদ্দীন-মঈনদের অবৈধ সরকারের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণ করা। সেদিন তাদের কথা মতো বিএনপির চেয়ারপারসন যদি দেশের বাইরে চলে যেতেন, তাহলে শেখ হাসিনা কোনো দিন দেশে ফিরতে পারতেন না, প্রধানমন্ত্রীও হতে পারতেন।
 
গণতন্ত্র ও দেশ রক্ষায় খালেদা জিয়া অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেন কুশিলবরা বার বার খালেদা জিয়াকে বলেছেন- আমাদের সঙ্গে আপস করুন, আপনাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দিচ্ছি। কিন্ত খালেদা জিয়া দেশ ও গণতন্ত্রের কথা চিন্তা করে তাদের সঙ্গে আপস করেননি।
 
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়া মানে গণতন্ত্র আর গণতন্ত্র মানে খালেদা জিয়া। সে কারণেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা অব্যাহতভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন।
 
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই সরকার নাকি উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভাসিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু প্রবিদ্ধি বাড়াতে পারেনি। তারা কেবল ৬ শতাংশের আশপাশ দিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।
 
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা অব্বাসের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহম্মদ শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভূইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬
এজেড/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।