মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী ও মহাসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজকের এতো উন্নয়ন, অর্জন সারা বিশ্বের বিস্ময়। প্রধানমন্ত্রীর এ অর্জন ম্লান হয় এমন আচরণ থেকে তোমাদের দূরে থাকতে হবে। দু’টো খারাপ কাজই এতো অর্জন ও উন্নয়নকে ম্লান করে দিতে পারে। আমরা আজকে শপথ নিবো এখন থেকে খারাপ খবরের শিরোনাম হবো না। ’
এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, নেত্রী আপনার ছাত্রলীগ পরিবর্তনের ধারায় ফিরে আসছে দেখুন, এবারই প্রথম কোনো ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ড নেই।
মেধাবীদের রাজনীতি আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মেধাবী ও যোগ্যদের রাজনীতি আসতে হবে। না হলে রজনীতি মেধাহীন, অযোগ্যদের হাতে চলে যাবে। শিক্ষিত চরিত্রবানরা যদি রাজনীতিতে না থাকে তবে অযোগ্য লোকরাই এমপি হবে, মন্ত্রী হবে এবং রাজনীতির মঞ্চ দখল করবে। আমাদের নেত্রী যে ইতিবাচক রাজনীতি শুরু করেছেন তোমাদের সেই উন্নয়নের মহসড়কে পথ চলতে হবে।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের সঞ্চলনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস। ১৯৪৮ সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে যে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়েছিল তা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে। এরপর থেকে সব ধরনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছিলো।
তিনি বলেন, জাতির জনক দেশকে স্বাধীন করেছিলো, কিন্তু তিনি যে দেশকে সোনার বাংলা করতে চেয়েছিলেন তা করে যেতে পারেনি। ১৯৭৫ সালে ঘাতকের বুলেটে সর্বপরিবারে শাহাদতবরণ করেন। কিন্তু তার মেয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সোনার বাংলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, সংগঠনের সাবেক ভাইয়েরা আমাদের অনুপ্রেরণা। আজকে আমরা তাদের পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। জঙ্গি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ আগামী নির্বাচনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এসএম জাকির হোসাইন বলেন, নেত্রী বিতর্কিত হয় এ ধরনের কাজ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে শিক্ষাবান্ধব নেত্রী উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানলে কেউ জঙ্গিবাদে লিপ্ত হবে না। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে বাংলাদেশর সব বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১০০ নম্বরের কোর্স বাধ্যতামূলক করাতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ক্রেস্ট নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৭
এসকেবি/ওএইচ/এসএইচ