রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকালে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
রিজভী বলেন, আমরা শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় চিঠি পেয়েছি।
রোববার রাত ৯ টায় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। নাম পাঠাবেন কি পাঠাবেন না সে ব্যাপারে সেখানেই সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
যদি নাম পাঠানো হয় তবে কার কার নাম প্রস্তাব করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, সেটা আমরা দেখি দলের সিদ্ধান্ত কি হয়। বৈঠক শেষে শীর্ষ নেতারাই সেটা বলতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে যে সংলাপ হয়েছে এর ফলাফল শুন্য উল্লেখ করে রিজভী বলেন, শুধু মাত্র এক ব্যক্তির ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে সংবিধান থেকে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিলো। একইভাবে নির্বাচন কমিশিন গঠনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এক ব্যক্তির ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটেছে। এবারও একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের পরও এক তরফা ভাবে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনেও যে এক ব্যক্তির ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে না সে সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়ার অবকাশ নেই।
রিজভী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ মনোভাবাপন্ন লোকদের দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতে তাদের মাধ্যমে নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন হবে এ নিয়ে জনমনে সংশয় আছে। ইতোপূর্বে অনুসন্ধান কমিটির ইতিহাস অনুসন্ধান করলে দেখা যায় অনুসন্ধান কমিটির বাটন ছিল প্রধানমন্ত্রীর হাতে।
রিজভী বলেন, শনিবার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধীতা করেন তাদের মানুষের জন্য কোনো দুঃখ নেই, তাদের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্গে দেখা উচিৎ। তাদের জেনে নেওয়া উচিৎ যে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রয়েল বেঙ্গল টাইগারের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আরেক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেছেন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যারা বিরোধীতা করে তারা রাবিশ।
প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের কথা বলেনই। মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা এটা আওয়ামী লীগের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী একজন গুণী ব্যক্তি। তিনি এতো রাবিশ লোকজনের মধ্যে থাকেন যে তিনি চারিদিকের রাবিশ ছাড়া আর কিছুই দেখেন না। এজন্য কথায় কথায় শুধু রাবিশ বলে বসেন।
প্রধানমন্ত্রী যখন রাশিয়াতে বাঘ সম্মেলনে গিয়েছিলেন তখন কি তিনি দুনিয়ার তাবৎ বাঘকে নির্মূল করার সিদ্ধান্ত নিতেই সে সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন বলেও প্রশ্ন তোলেন রিজভী।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, আসলে তার বিপক্ষে গেলেই তিনি সেটা মানতে চান না। তিনি শুধু নিজের বাক স্বাধীনতাকেই বিশ্বাস করেন।
দেশের ৯৯ ভাগ জনগণ রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঘোর বিরোধী মন্তব্য করে তিনি বলেন, বন হচ্ছে প্রকৃতির একটি সজ্জিত বাগান। যদি সুধাসদনের ড্রয়িং রুমে সারাদিন গ্যাসের চুলা লাগিয়ে রান্না করা হয় তাহলে কি তার (প্রধানমন্ত্রীর) ভালো লাগবে?
সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রমুখ।
**স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন খালেদা
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭/আডেট ১৪৩৩
জেডএফ/বিএস