ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

যাদের নাম প্রস্তাব করলো বিএনপি জোট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
যাদের নাম প্রস্তাব করলো বিএনপি জোট উপর থেকে: মাহমুদুল আমীন, ড. সা’দত ও আলী ইমাম মজুমদার এবং ড. সালেহউদ্দিন (সংগৃহীত)

ঢাকা: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া বিএনপি জোটের ৭টি শরিক দল সার্চ কমিটির কাছে যে ৩৫টি নাম প্রস্তাব করেছে তার মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগের জন্য রয়েছে ৫টি ‘অভিন্ন’ নাম।

তারা হলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ড. সা’দত হুসাইন, আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও সাবেক সচিব আসাফুদ্দৌলা।

কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বন্ধ খামে বিএনপি, এলডিপি, বিজেপি, বাংলাদেশ ন্যাপ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সার্চ কমিটর কাছে যে নামের তালিকা দিয়েছে, সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগের জন্য উপরের ৫টি নাম ‘অভিন্ন’।

বিএনপি জোটের ৭ দলের দেওয়া বাকি ৩০টি নামের মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি নাম অভিন্ন রয়েছে। এসব নামের তালিকায় সাবেক প্রধান বিচারপতি, সচিব, সামরিক কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষক রয়েছেন।  

মঙ্গলবার ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক বিএনপি, এলডিপি, বাংলাদেশ ন্যাপ ও খেলাফত মজলিস’র কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্রমতে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটির কাছে দেওয়া বিএনপির ৫ নামের মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন, সুজন’র সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যপক ড. দিলারা জামান ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ।

এই নামগুলো মধ্য থেকে সালেহউদ্দিন আহমেদ অথবা সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করেছে বিএনপি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে নামগুলো প্রকাশ না করার। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত ও গোপনীয়তা রক্ষা করা আমার দায়িত্ব।

বিএনিপি জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ ন্যাপের দেওয়া নামগুলোর মধ্যে রয়েছে, সাবেক সচিব আসাফুদ্দৌলা, ড. তোফায়েল আহমেদ, সাবেক সচিব আলাউদ্দিন সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়া জেনারেল (অব.) এ জে ফজলুর রহমান।

এ পাঁচ জনের মধ্য থেকে সাবেক সচিব আসাফুদ্দৌলাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ।

ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বাংলানিউজকে বলেন, জোট ও দলের পক্ষ থেকে নামগুলো গোপন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, বিএনপি জোটের আরেক শরিক খেলাফত মজলিসের দেওয়া ৫ নামের মধ্যে রয়েছে সাবেক সচিব আসাফুদ্দৌলা, সালেহউদ্দিন আহমেদ, আলী ইমাম মজুমদার, যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তাসনিম সিদ্দিকীর নাম প্রস্তাব করেছে।

এর মধ্যে আসাফুদ্দৌলাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে খেলাফত মজলিস। বাকি চারজনের ভেতর থেকে অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রস্তাব রয়েছে তাদের।

এ প্রসঙ্গে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, নাম প্রকাশের সিদ্ধান্ত দলীয়ভাবে হয়নি। তবে আপনি (প্রতিবেদক) যে নামগুলো বলেছেন তার মধ্যেই আছে।

বিএনপি জোটের আরেক শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছেরকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগের প্রস্তাব করেছে।

এছাড়া বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী এবং একজন মাদ্রাসা শিক্ষককে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।

জোটের অন্য তিন শরিক বিজেপি, এলডিপি ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নেতারা মোটের ওপর সার্চ কমিটিতে দেওয়া নামের ব্যাপারে কোনো কথা বলতে চাননি। তবে জোট সূত্রে জানা যায়, বিএনপিসহ অন্য শরিকদের দেওয়া নামের তালিকার সঙ্গে এই তিন দলের দেওয়া নাম প্রায় হুবহু মিল রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি যুক্ত ছিলাম না। সুতরাং কার কার নাম দেওয়া হয়েছে, তা আমি বলতে পারছি না।

বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৭
এজেড/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।