রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এই সভা আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, প্রতিদিন পত্রপত্রিকা খুললে দেখা যায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের লোকজনের অন্তঃদ্বন্দ্বের খবর। কিসের দ্বন্দ্ব? এগুলো ভাগ-বাটোয়ার দ্বন্দ্ব।
সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা ও মেয়রের গুলিতে সাংবাদিক মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা সত্য কথা বললে বা ছবি তুলতে গেলে গুলি করে মারা হচ্ছে। দেশে এখন কেউ নিরাপদ নয়। কারো ঘরে তরুণ ছেলে থাকলে পরিবার আতঙ্কে থাকে- বাসা থেকে বের হলে তাকে জঙ্গি বলে ধরা হবে। সেদিন মোহাম্মদপুর থেকে ২৮ জন নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তাবলিগের আড়ালে তারা নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো’।
জনগণকে ভয় পায় বলেই ‘জনগণের নেত্রী’ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে ফখরুল বলেন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে প্রতিনিয়ত হাজিরা দিতে হচ্ছে। যেদিন তার হাজিরা থাকে সেদিন মনে হয় যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করে। সরকারের ভয়টা কিসের? ভয় হলো জনগণের। কারণ নেত্রীর সঙ্গে যে কোটি জনগণ আছে তারা যদি জেগে ওঠে তাহলে তাদের তখতে তাউস এক মুহূর্তের জন্যও টিকবে না’।
এক-এগারোর সরকারের সময় থেকে তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, একটি মহল এক-এগারোর আগে থেকে তার (তারেক রহমান) বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো শুরু করে। তিনি আজ আমাদের থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে। অথচ তাকে আরও কিভাবে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায় সে জন্য একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। এসব মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হচ্ছে। কিন্তু কোনো চেষ্টা সফল হবে না।
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রখেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কাজী আবুল বাশার, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, মুরতাজুল করিম বাদরু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০৭
এজেড/এটি