ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

বিএনপি নিরাশ ও হতাশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭
বিএনপি নিরাশ ও হতাশ

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের প্রতিফলন ঘটেছে উল্লেখ করে বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এতে আমরা নিরাশ ও হতাশ হয়েছি।

মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
 
এর আগে, রাত ৯টা থেকে ১১টা পযর্ন্ত টানা দুই ঘণ্টা জোট শরিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।


 
বৈঠক শেষে জোট নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে আসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তার পাশে ছিলেন বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খান।
 
জোট নেতাদের মধ্যে ছিলেন- জামায়াতের মাওলানা আব্দুল হালিম, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মুজিবুর রহমান, এলডিপি'র ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম, জাগপা'র শফিউল আলম প্রধান, বাংলাদেম ন্যাপের জেবেল রহমান গাণি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টির (জাফর) ডা. টিআইএম ফজলে রাব্বি, এনডিপি'র খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপি'র ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ডিএল’র সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, পিএল’র সৈয়দ মাহবুব হোসেন, মুসলীম লীগ’র শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম’র নূর হোসেন কাসেমী, ইসলামী ঐক্যজোট মাওলানা আবদুর রকিব, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল’র সাঈদ আহমেদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি’র ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিজেপি'র আব্দুল মতিন প্রকাশ প্রমুখ।
 
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২০১৪ সালের ০৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর দেশ এক গভীর সংকটে পড়েছে। এই সংকট উত্তরণে এবারের নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি বিএনপি শুরু থেকেই অসীম গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল।
 
বিএনপি চেয়েছিল, যাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে, তারা হবেন সৎ, দল নিরপেক্ষ, দক্ষ, সাহসী প্রজ্ঞাবান, কর্মঅভিজ্ঞ ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য, বলেন তিনি।
 
বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, সব মহল থেকে দাবি ছিলো, সার্চ কমিটির বাছাই করা ১০ নাম জনসম্মুখে প্রকাশ করা হোক। তাদের জীবন বৃত্তান্ত ও কর্মঅভিজ্ঞতা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা হোক। কিন্তু সেটি না করে রুদ্ধশ্বাস দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।  
 
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, নুরুল হুদা ১৯৯৬ সালে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক থাকাকালে সরকারবিরোধী জনতার মঞ্চের একজন সংগঠক ছিলেন। চাকরির বিধি লংঘনে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল। আওয়ামী লীগ আমলে পুনরায় তিনি চাকরি ফিরে পান।
 
সঙ্গত কারণেই বিএনপি’র প্রতি তার ক্ষোভ এবং আওয়ামী লীগের প্রতি তার কৃতজ্ঞতাবোধ থাকতে পারে। সুতরাং এই ব্যক্তিকে দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না।
 
নির্বাচন কমিশনে বিএনপি’র দেওয়া কোনো নাম আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা মাহবুব তালুকদারের নাম দিয়েছিলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
এজেড/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।